বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্র ফাহিম হোসেন (১৬) বগুড়া শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং শহরের চকফরিদ কলোনির ফরহাদ হোসেনের ছেলে।

ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শহরের বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী। তিনি জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ফাহিমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মঈন উদ্দিন জানান, কী কারণে কারা স্কুলছাত্র ফাহিমকে হত্যা করেছে, তাৎক্ষণিক তা জানা যায়নি। কারণ অনুসন্ধানে ও খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ শুরু করেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসা থেকে শিক্ষকের সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ায় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈদাশীরহাট নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোর শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরের শিকার ইয়াসিন আলী (১৫) উপজেলার সংকৈর গ্রামের বটতলী বাজার এলাকার সামিউল ইসলামের ছেলে। তাঁর বাঁ চোখ, নাক ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইয়াসিনের বাবা সামিউল ইসলাম বলেন, গত রোববার বিকেলে তাঁর ছেলে মাদ্রাসা থেকে একটি সাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে তিনি সাইকেলটি মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। গতকাল সন্ধ্যায় ইয়াসিন মাদ্রাসায় যায়। তখন শিক্ষক শাহ আলম তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ছেলেটার চোখ, মুখ, নাক, কান ফেটে রক্ত পড়েছে; হাত-পায়েও আঘাত করেছে। খবর পেয়ে ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিনি।

সামিউল ইসলাম আরও বলেন, এভাবে চোরকেও কেউ পেটায় না। ছেলে সুস্থ হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরার লাবিব বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর আঘাত আছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন আছে। তবে চোখের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় আমরা রেফার্ড করেছি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান মো. শাহিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আমার সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। পরে আামি সাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখি, সাইকেল নেই। ভ্যানে করে আমার কাজে চলে গেছি। পরে শুনি, আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম ওই ছেলেকে শাসন করেছে। শাসন করতে গিয়ে বেজায়গায় লেগেছে। শিশুটি হাসপাতালে আছে। আমি খোঁজ নিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ