নারায়ণগঞ্জ শহরে নিজ ফ্ল্যাটে এনজিও কর্মকর্তা খুন
Published: 10th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরে নিজ ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন এর প্রকল্প পরিচালক উৎপল রায়।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে টানবাজার সাহাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা ওই এলাকায় ব্যবসায়ী শংকর সাহার মালিকানাধীন ৭ তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে তাকে গলাকেটে হত্যা করে।
নিহত উৎপল রায়ের ২ ছেলের একজন দেশের বাইরে ও আরেকজন পেশায় ডাক্তার। তার নাম উজ্জ্বল কুমার রায়।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বন্দর এলাকার একজন কাজের মহিলা এখানে কাজ করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা হতে ৭টার মধ্যে ওই মহিলা বাসায় ঢুকে। পরে সাড়ে ৮টা হতে ৯টার মধ্যে বের হয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছেলে উজ্জ্বল রায় বাসায় এসে দেখে ভেতর থেকে লক করা। পরে লক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখে তার বাবার রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পরে আছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নাসিরউদ্দিন জানান, কারা কেন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে : মামুন মাহমুদ
এড. তৈমুর আলম খন্দকার, এটিএম কামালসহ অনেকের নাম উল্লেখ করে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, সামন্য লোভ লালসার মোহে কিংবা ভয়ে ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের অনেক নেতৃত্ব। অথচ দলের জন্য তাদের বহু ত্যাগ ও অবদান ছিল। তাই তাদের মত ভুল করা যাবে না।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় গ্রিন গার্ডেন পার্টি সেণ্টারে, জেলা বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে মত বিনিময় সভায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এ সময় মামুন মাহমুদ আরও বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার গঠন হলো। বহু বড় বড় সন্ত্রাসী জেল থেকে বের হয়ে গেলে। অথচ এখনো আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসতে পারেননি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তারেক রহমান দেশে ফিরে না আসবে ততদিন আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবনা।
আমাদের প্রয়োজন সুশৃঙ্খল হওয়া। সুশৃঙ্খলভাবে দলীয় শৃঙ্খলা টিক রেখে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা দেশকে ভালোবেসেছি দেশে রয়েছি। যারা দেশকে ভালোবাসেননি সম্পদকে ভালোবেসেছেন তারা সম্পদ ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি এখনো পুরন হয়নি। অন্তর্র্বতী সরকারের ৬ মাস গত হয়েছে। এখনো নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। অথচ এ সরকারের কাজ হলো অবাদ সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহমদ টুটুল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মণ্টু মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর,বাংলাদেশ জাতীয়য়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক খন্দকার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া ও সদস্য সচিব মাওলানা হাবিব এহসানী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলনসহ জেলার সকল অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।