Samakal:
2025-04-14@10:03:23 GMT

মাথাব্যথা কারণটা জানুন

Published: 10th, February 2025 GMT

মাথাব্যথা কারণটা জানুন

মাথাব্যথায় ভোগেননি এমন লোক হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাথাব্যথা নানা কারণে হতে পারে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মাথাব্যথায় ভুগে থাকেন, যার মধ্যে চাপা উত্তেজনা ধরনের মাথাব্যথার রোগী বেশি। যেসব কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে তা হলো–মাইগ্রেন, সাইনাসের প্রদাহ, ক্লান্তি, পানিশূন্যতা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, দুশ্চিন্তা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ, এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগ, অতিরিক্ত ব্যথানাশক ব্যবহার বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথায় আঘাত, ব্রেইনের টিউমার, দাঁতের রোগ, খুব ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম দ্রুত খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান ইত্যাদি।
ব্যথার ধরন ও চিকিৎসা
টেনশন
বেশির ভাগ মাথাব্যথাই হয় টেনশন বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে। টেনশনের কারণে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, মাথাব্যথা শুরু হয়। 
করণীয়: সুশৃঙ্খল পারিবারিক জীবনাচরণ ও আনন্দময় ঝামেলাহীন জীবনই পারে টেনশন ও এর থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে।
মাইগ্রেন
মাথাব্যথার মধ্যে মাইগ্রেনের ব্যথা অধিকতর তীব্র। এ ধরনের ব্যথা মাথার এক পাশ দিয়ে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করে। এই ব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথার পাশাপাশি বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ।
করণীয়: চিকিৎসকের অধীনে এবং নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে মাইগ্রেনের চিকিৎসা করা উচিত। মেডিটেশন, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো, অতিরিক্ত বা কম আলোয় কাজ না করা, কড়া রোদ বা তীব্র ঠান্ডা, উচ্চ শব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ পরিহার, পিসি ও টিভির সামনে বেশিক্ষণ না থাকা, প্রচুর পানি পান ইত্যাদি 
মাইগ্রেনে বেশ উপকারী।
ক্লাস্টার
ক্লাস্টার মাথাব্যথা হঠাৎ করেই শুরু হয়। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বাড়ে। ব্যথা এক পাশে শুরু হয়ে অনেক সময় চোখের পেছনের দিকেও প্রবাহিত হয়ে তীব্র আকার ধারণ করে। এ সময় নাক, চোখ বা ব্যথার স্থান লাল বর্ণও ধারণ করতে পারে। তীব্র আলো, ঘ্রাণ বা গন্ধ এবং শব্দে এ ধরনের মাথাব্যথা বেড়ে যায়।
করণীয়: মাইগ্রেনের চিকিৎসা এবং ক্লাস্টারের চিকিৎসা একই। তীব্র ব্যথা হলে স্নায়ু বিশেষজ্ঞ ‘ভেরাপামিল’ জাতীয় ওষুধ খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ছাড়া অ্যালকোহল, ধূমপান ত্যাগ করা, সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস ইত্যাদি এসব সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
সেকেন্ডারি
ব্যথার উৎস যখন মাথার বাইরে থাকে, তখন তাকে সেকেন্ডারি মাথাব্যথা বলে। যেমন– গ্লুকোমা, দাঁতের সমস্যা, আঘাত, মস্তিষ্কের টিউমার, এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগ, ব্রেইনের রক্তনালিতে ইনফেকশন ইত্যাদি।
করণীয়: কারও এ ধরনের মাথাব্যথা থাকলে দেরি না করে একজন স্নায়ু বা মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে যেসব কারণে মাথাব্যথা হচ্ছে, তা শনাক্ত করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। 
সাইনাসের প্রদাহ
মাথার হাড়ের মধ্যে অবস্থিত কিছু ফাঁকা জায়গা থাকে, যাকে বলে সাইনাস। চোখের পেছনে, নাকের হাড়ের দুই পাশে এ রকম ফাঁকা জায়গা রয়েছে, যাতে সর্দি জমে সাইনোসাইটিস বা প্রদাহ হয়। ফলে বাতাস আটকে যায় এবং মাথাব্যথা করে। এ মাথাব্যথা কপালে বা গালের দু’দিকে কিংবা চোখের পেছনে হয় এবং কিছুটা জ্বর বোধ হয়।
করণীয়: সাইনাসজনিত মাথাব্যথায় অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে। এ ছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসল করলে অথবা গামলায় গরম পানি নিয়ে নাক দিয়ে বাষ্প টেনে নিলে আরাম পাওয়া যায়। খুব বেশি মাথাব্যথা করলে এক টুকরো কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে কপাল, চোখের ওপর বা নাকের দুই পাশে ছেঁক দিলে সাইনাসের বদ্ধতা কাটার পাশাপাশি আরাম পাওয়া যায়।
হরমোনাল
নারীর ঋতুকাল, গর্ভধারণ এবং মেনোপজের সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হয়। তখন মন-মেজাজ পরিবর্তন, এমনকি মাথাব্যথাও হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণের ট্যাবলেট সেবনের পর হরমোনের পরিবর্তনগুলোর কারণেও অনেকের মাথাব্যথা বেড়ে যায়।
করণীয়: নারীর মনোপজের সময় হরমোনের পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথা হতে পারে। এর চিকিৎসায় হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি উপকারী ফল বয়ে আনতে পারে। এ সময় টেনশনমুক্ত দৈনন্দিন জীবন নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত ঘুম, পানি পান ইত্যাদি বেশ সহায়ক।
পরামর্শ
অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান, মাদক সেবন, 
চা-কফি, অনিয়মিত এবং অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ায় বেশিক্ষণ থাকা, অতিরিক্ত শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধার্ত থাকা ও সময়মতো না খাওয়া, যে কোনো ধরনের মানসিক চাপ ইত্যাদি মাথাব্যথার কারণ। এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকলে মাথাব্যথা বেশির  ভাগ কমে আসবে। 
[বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ইন স করণ য় ট নশন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেনে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া থেকে গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন খবরে এ তথ্য উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন চাওয়াকে ঔপনিবেশিক ধারার নিপীড়ন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের শাসনামলে ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র সহায়তার ‘বিনিময়ে’ কিয়েভ যেন তার প্রাকৃতিক সম্পদের মজুত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি খনিজ চুক্তি সই নিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গত শুক্রবার বৈঠক করেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চান, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেনের শাসনামলে ইউক্রেনকে দেওয়া অস্ত্র সহায়তার ‘বিনিময়ে’ কিয়েভ যেন তার প্রাকৃতিক সম্পদের মজুত যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা ক্রমেই বেশি বিদ্বেষপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের দেওয়া খসড়া প্রস্তাবে আগের চেয়ে অনেক বেশি দাবি করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের কাছে তেল ও গ্যাসের পাশাপাশি তার ৫০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের বিরল খনিজ সম্পদ দেওয়ার দাবি জানায়।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে গত ১ জানুয়ারি এ পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইউক্রেন। এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশই এ পাইপলাইন দিয়ে কোটি কোটি ইউরো ট্রানজিট ফি আয় করেছে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন পুরোদমে যুদ্ধ চলার মধ্যেও প্রথম তিন বছর তাদের এ আয় অব্যাহত ছিল।

শুক্রবারের আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত একটি সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানায়, সাম্প্রতিকতম নথিপত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন’ ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে সরবরাহ করা রুশ গ্যাসের পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে।

আরও পড়ুনইউক্রেনের বিরল খনিজ কী, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কেন চুক্তিতে যাচ্ছে দেশটি২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গ্যাস পাইপলাইনটি রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুদজা থেকে ইউক্রেনের উঝঝোরদ শহরে গেছে। শহরটি ইইউ ও স্লোভাকিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (প্রায় ৭৫০ মাইল) দূরে অবস্থিত। পাইপলাইনটি সাবেক সোভিয়েত আমলে তৈরি। এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অবকাঠামো ও জ্বালানি সরবরাহের পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুনখনিজ নিয়ে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইউক্রেন–যুক্তরাষ্ট্র২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রমের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে গত ১ জানুয়ারি এ পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইউক্রেন। এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়া দুদেশই এ পাইপলাইন দিয়ে কোটি কোটি ইউরো ট্রানজিট ফি আয় করেছে। এমনকি রাশিয়া–ইউক্রেন পুরোদমে যুদ্ধ চলার মধ্যেও প্রথম তিন বছর তাদের এ আয় অব্যাহত ছিল।

আরও পড়ুনইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র২১ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনইউক্রেনের খনিজে ভাগ বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০ দিনের বেশি আমেরিকায় থাকলে নাম নথিভুক্ত না করলে জরিমানা
  • ৩০ দিনের বেশি সময় আমেরিকায় থাকলে নাম নথিভুক্ত না করলে জরিমানা
  • ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইনের নিয়ন্ত্রণ দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
  • যে কণ্ঠস্বর ইসরায়েলের মিথ্যাচার ব্যর্থ করে দিচ্ছে
  • ঢাকায় পাকিস্তানি গায়ক মুস্তাফা জাহিদের কনসার্ট হয়নি, আয়োজক লাপাত্তা