Samakal:
2025-04-13@06:43:35 GMT

হজমের সমস্যা

Published: 10th, February 2025 GMT

হজমের সমস্যা

খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন। তেমন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ যদি নিয়মিত বদহজমের সমস্যা লেগে থাকে, তা হলে রোজ ওষুধের ওপর ভরসা না করে জীবনশৈলীতে বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে অভ্যাসগুলোকে আমরা ভুল বলে মনে করিনি কখনও।
হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কোন কোন অভ্যাস?
খাবার চিবিয়ে না খাওয়া
খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। ভালো করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় টুকরোগুলো ভাঙতে সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে খাবারের সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভালো।
চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস
অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর ক্যাফেইন জাতীয় কোনো পানীয় খাওয়াই অনুচিত। এতে গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যদি খেতেই হয়, অন্ততপক্ষে দু’ঘণ্টা পর খাওয়া যেতে পারে। গরমে একটু ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বেশি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়ে। তাতেও হজমের সমস্যা বাড়ে।
ডায়েটে ফাইবার কম রাখা
ডায়েটে যোগ করুন পর্যাপ্ত ফাইবার। গ্যাস সরাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৮ শতাংশ ফাইবার। নানা রকম ফল, কার্বোহাইড্রেট ও শাকসবজি থেকে তা পাওয়া যায়। এ কারণে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন দরকারি ফাইবার। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন কমবে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান মিলবে। গ্যাসের সমস্যাও এর হাত ধরে নিয়ন্ত্রিত হবে অনেকটা।
ফল খাওয়া
খালি পেটে ফল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস পেটের গোলমাল বাধাতে পারে। যদি ফল খেতেই হয়, সকালে খাবার খাওয়ার পর খেয়ে নেওয়াই ভালো।
খেয়েই শুয়ে পড়া
খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলে বা হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। সারা দিন বেশি করে পানি খান। শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজম র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

‘তিনি আন্তর্জাতিক মানের আম্পায়ার হলে, আমিও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়’

‘অধিনায়ক, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ এবং আম্পায়ারদের কর্তৃত্বকে সম্মান কর। স্বচ্ছতার সঙ্গে খেল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নাও।’ –ক্রিকেটারদের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের কোড অব কন্ডাক্টের অন্যতম অংশ এগুলো। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান। সাকিব আল হাসানের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারও বিশ্ব নিন্দনীয় কাজ করতে পেরেছিলেন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে। ২০২১ সালে লাথি মেরে ভেঙে ছিলেন স্টাম্প। বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠার পরও মাত্র চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল মোহামেডানের সাবেক অধিনায়ককে। 

ক্রিকেট মাঠের অগ্রজ নেতিবাচক যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, অনুজরা তাই অনুসরণ করছেন। আম্পায়ারদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে এবারও আলোচনায় মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। আন্তর্জাতিক এ ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে আইসিসির এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদি হয়েছেন। বিশ্বের কাছে নন্দিত এ আম্পায়ারকে নীতিজ্ঞান দিতেও ছাড়েননি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও মোহামেডানের অধিনায়ক হৃদয়। গতকাল শুনানি শেষে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা সুপারিশ করেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশীদ রাহুল। 

শাস্তির শুনানিতে গিয়েও হৃদয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ রেফারির রাহুলের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ। শাস্তির ধারা দেওয়া হলে রাহুলকে পড়ে শোনাতে বলেন তিনি। ম্যাচ রেফারি আপত্তি জানালে, মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদ হোসেন শিপন পড়ে শোনান। আংশিক চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে শাস্তি মেনে নেন হৃদয়। যদিও মোহামেডান চেষ্টা করছে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার। বিসিবি আম্পায়ার্স বিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে মোহামেডানের ম্যানেজার সাজ্জাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘যা ঘটেছে তাতে মোহামেডান অধিনায়ককে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা যায় না। অধিনায়ক নিয়মের ভেতরে থেকে প্রতিবাদ করতে পারেন।’ 

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়াররা এমন কী করেছিলেন যে ক্রিকেটারদের বিতণ্ডায় জড়াতে হলো। আবাহনীর ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুনের এলবিডব্লিউ চাওয়া হলে প্রত্যাখ্যান করেন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার তানভির আহমেদ। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে বিতণ্ডায় জড়ান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। আম্পায়ার সৈকত প্রতিবাদ জানালে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান অধিনায়ক হৃদয়। আবাহনীর আরেক ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমনকে এলবিডব্লিউ না দেওয়ায় দ্বিতীয়বার প্রতিবাদী হয় মোহামেডান। 

এই দুই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ফিল্ড আম্পায়াররা রিপোর্ট ফাইল করেন। ম্যাচ রেফারি রাহুল এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার সুপারিশ করেছিলেন। মোহামেডান ম্যানেজার সাজ্জাদের অনুরোধে জরিমানা বাদ দেওয়া হলেও এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ বহাল রয়েছে। 

মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয় যে আম্পায়ার সৈকতের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তা প্রকাশ পেল ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে, ‘আমি যদি ভুল করি স্বীকার করব। ভুলটা স্বীকার না করে আপনি যদি মনে করেন এটা ভুল না, তাহলে হয় না। আমরা তাঁকে সম্মান করি, তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, আমরাও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। আজকে যারা খেলেছে অধিকাংশ আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। এরকম বড় ম্যাচে একটা দুইটা ভুল সিদ্ধান্ত অনেক কিছু বড় একটা ব্যবধান তৈরি করে দিতে পারে। এটা যদি অন্যদিকে যায় তাহলে অবশ্যই আমি মুখ খুলব।’ 

আন্তর্জাতিক ম্যাচেও আম্পায়ারদের সঙ্গে অনুরূপ আচরণ করেন কিনা জানতে চাওয়া হলে হৃদয় বলেন, ‘শুধু খেলোয়াড়ের ওপর দোষ দিলে হবে না। আপনারা দেখেন আমাদের আম্পায়ারিং বিভাগের এক-দুইজন ছাড়া যে খুব ভালো করে এ রকম না। যখন জাস্টিফাই করবেন তখন আমার মনে হয় দুই দিক থেকে জাস্টিফাই করা উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ