Samakal:
2025-02-11@07:43:19 GMT

হজমের সমস্যা

Published: 10th, February 2025 GMT

হজমের সমস্যা

খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন। তেমন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ যদি নিয়মিত বদহজমের সমস্যা লেগে থাকে, তা হলে রোজ ওষুধের ওপর ভরসা না করে জীবনশৈলীতে বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে অভ্যাসগুলোকে আমরা ভুল বলে মনে করিনি কখনও।
হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কোন কোন অভ্যাস?
খাবার চিবিয়ে না খাওয়া
খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। ভালো করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় টুকরোগুলো ভাঙতে সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে খাবারের সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভালো।
চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস
অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর ক্যাফেইন জাতীয় কোনো পানীয় খাওয়াই অনুচিত। এতে গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যদি খেতেই হয়, অন্ততপক্ষে দু’ঘণ্টা পর খাওয়া যেতে পারে। গরমে একটু ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বেশি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়ে। তাতেও হজমের সমস্যা বাড়ে।
ডায়েটে ফাইবার কম রাখা
ডায়েটে যোগ করুন পর্যাপ্ত ফাইবার। গ্যাস সরাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৮ শতাংশ ফাইবার। নানা রকম ফল, কার্বোহাইড্রেট ও শাকসবজি থেকে তা পাওয়া যায়। এ কারণে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন দরকারি ফাইবার। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন কমবে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান মিলবে। গ্যাসের সমস্যাও এর হাত ধরে নিয়ন্ত্রিত হবে অনেকটা।
ফল খাওয়া
খালি পেটে ফল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস পেটের গোলমাল বাধাতে পারে। যদি ফল খেতেই হয়, সকালে খাবার খাওয়ার পর খেয়ে নেওয়াই ভালো।
খেয়েই শুয়ে পড়া
খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলে বা হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। সারা দিন বেশি করে পানি খান। শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজম র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

হজমের সমস্যা

খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন। তেমন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ যদি নিয়মিত বদহজমের সমস্যা লেগে থাকে, তা হলে রোজ ওষুধের ওপর ভরসা না করে জীবনশৈলীতে বদল আনার প্রয়োজন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে অভ্যাসগুলোকে আমরা ভুল বলে মনে করিনি কখনও।
হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কোন কোন অভ্যাস?
খাবার চিবিয়ে না খাওয়া
খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। ভালো করে চিবিয়ে না খেলে খাবারের বড় টুকরোগুলো ভাঙতে সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এ কারণে খাবারের সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভালো।
চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস
অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর ক্যাফেইন জাতীয় কোনো পানীয় খাওয়াই অনুচিত। এতে গ্যাসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যদি খেতেই হয়, অন্ততপক্ষে দু’ঘণ্টা পর খাওয়া যেতে পারে। গরমে একটু ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বেশি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়ে। তাতেও হজমের সমস্যা বাড়ে।
ডায়েটে ফাইবার কম রাখা
ডায়েটে যোগ করুন পর্যাপ্ত ফাইবার। গ্যাস সরাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৮ শতাংশ ফাইবার। নানা রকম ফল, কার্বোহাইড্রেট ও শাকসবজি থেকে তা পাওয়া যায়। এ কারণে প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন দরকারি ফাইবার। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন কমবে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান মিলবে। গ্যাসের সমস্যাও এর হাত ধরে নিয়ন্ত্রিত হবে অনেকটা।
ফল খাওয়া
খালি পেটে ফল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস পেটের গোলমাল বাধাতে পারে। যদি ফল খেতেই হয়, সকালে খাবার খাওয়ার পর খেয়ে নেওয়াই ভালো।
খেয়েই শুয়ে পড়া
খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলে বা হাঁটাহাঁটি করলে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি। সারা দিন বেশি করে পানি খান। শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ