Samakal:
2025-03-14@06:09:24 GMT

আরাম মিলবে ৩ ব্যায়ামে

Published: 10th, February 2025 GMT

আরাম মিলবে ৩ ব্যায়ামে

চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ। অথচ চোখের ওপরেই যাবতীয় চাপ। অফিসে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকা, ঘন ঘন জুম মিটিং, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহার– সবক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে চোখের ওপর। শরীর সুস্থ রাখতে চিকিৎসকরা যেমন শরীরচর্চা করতে বলেন, তেমন চোখের আলাদা করে যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। চোখ ভালো রাখতে কাজের ফাঁকেই চোখের বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি। মাঝেমধ্যে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়া প্রয়োজন। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে, চোখব্যথা, অনবরত জল পড়ার মতো কিছু সমস্যা মেটাতে ভরসা রাখতে পারেন সহজ কয়েকটি ব্যায়ামের ওপর।
হাতের তালুর ব্যবহার: প্রায় ১০-১৫ মিনিট দুই হাতের তালু একটির সঙ্গে অপরটি ঘষে নিন। ঘর্ষণের ফলে হাতের তালুতে যে তাপ উৎপন্ন হবে, চোখ বন্ধ করে হাত দুটি চোখের ওপরে রাখুন। চাপ দেবেন না। হালকা হাতে তাপ দিন চোখে। দিনে ৩-৪ বার এটি করতে পারেন। চোখ ভালো থাকবে।
ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলা: প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড অন্তর চোখের পাতা ফেলা, চোখের অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে একভাবে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমধ্যে চোখের এ ব্যায়ামটি করে নেওয়া ভালো। টানা ১ মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলাও খুব উপকারী একটি অনুশীলন।
চোখ ঘোরানো: গোল করে চোখের মণি ঘোরানোও চোখ ভালো রাখার জন্য বেশ কার্যকর একটি ব্যায়াম। ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে চারবার করে মণি ঘোরান। তার পর চোখ বন্ধ করে রাখুন ২-৩ সেকেন্ডের মতো। দিনে দু’বার করে এই ব্যায়ামটি করুন। চোখের পেশি ভালো থাকবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ