পত্রিকা বিক্রেতা ও দুস্থদের পাশে
Published: 10th, February 2025 GMT
সমকালের পাঠক সংগঠন সুহৃদ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলার আয়োজনে পত্রিকা বিপণনকারী (বিক্রেতা) ও দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাইবান্ধা স্টেশনসংলগ্ন পত্রিকা বিতান কার্যালয়ের সামনে পত্রিকা বিক্রেতা ও দুপুরে শহরের এন এইচ মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অসহায় ও দুস্থ শতাধিক ব্যক্তির মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
গাইবান্ধা সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি মোক্তাদির রহমান রোমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান আরমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমকাল জেলা প্রতিনিধি ও সুহৃদ সমাবেশ জেলা শাখার সমন্বয়কারী মাসুম লুমেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক তানবীর আহম্মেদ, সাহিত্য সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম সাকা, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক রাহুল আহমেদ, সহ-পাঠচক্র সম্পাদক তালহা জুবাইর, নির্বাহী সদস্য নাছিদুর রহমান জীবন, নির্বাহী সদস্য মোছা.
শীতবস্ত্র পাওয়ার পর পত্রিকা বিক্রেতা ও অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষেরা সমকাল সুহৃদ সমাবেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রতি বছর শীতের সময় শীতার্ত মানুষের পাশে থাকাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি পালন করে আসছে সুহৃদ সমাবেশ গাইবান্ধা জেলা শাখা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের বিচারসহ পাঁচ দাবিতে ছয়দিন ধরে শাহবাগে অবস্থান ঢাবি শিক্ষার্থীর
ধর্ষণের বিচার, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পাঁচ দফা দাবিতে ছয়দিন ধরে রাজধানীর শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি। ছয়দিন ধরে অবস্থানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সংহতি জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি কেউ।
সরকারের কেউ দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তিনি কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন বলে জানান। তাসনীম আফরোজ ইমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি শামসুন নাহার হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি।
গত ৮ মার্চ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘দেশব্যাপী নারী, ধর্ষণ, নিপীড়ন এবং হেনস্তার প্রতিবাদে লাগাতার অবস্থান’ শুরু করেন ইমি। তিনি বলেন, কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি পরিচয় নয়, একেবারে সাধারণ নাগরিকের ব্যানার থেকে আমি অবস্থান করছি। তবে দুঃখের বিষয় আমি এতদিন অবস্থান করছি কিন্তু কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এটা একটা বার্তা দেওয়া হলো-সাধারণ মানুষের কথা কেউ শোনে না।
তিনি বলেন, আমার যদি কোনো ক্ষতি হয়, এটার পুরো দায় সরকারকে নিতে হবে। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি, আমার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস-নিশ্চয়তা যদি আসে তাহলে আমি ঘরে ফিরতে চাই।
তার পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. ধর্ষণ ও বলাৎকারের বিচার কার্যক্রম নিম্ম আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করতে হবে, এবং দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে।
২. আগামী ৭২ ঘণ্টার ভেতর প্রতিটি থানায় একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নারী ও শিশু নির্যাতন একটি ইমারজেন্সি ক্রাইসিস রেস্পন্স টিম গঠন করতে হবে। একই সাথে থানার অভ্যন্তরে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহায়তা আইন সহায়তা ও মানসিক এখন সেবা দেওয়া হবে।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা-২৪ সংশোধন পূর্বক ধর্ষণের শিকার ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের উপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে সেই ধারায় সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।
৪. ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে।
৫. নারী ও শিশুর উপর সংঘটিত সকল নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরীর জন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। এই উদ্যোগ গুলোর মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি শ্রেণী স্তরের নারী ও শিশুদেরকে সচেতন করা যাবে। একই সাথে স্কুল-কলেজের পাঠ প্রস্তুকে নৈতিক শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা পাঠদানের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।