মাঘের হাড় কাঁপানো শীত। কুয়াশাঘেরা আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে সকালে সুহৃদরা একে একে জড়ো হতে থাকেন পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পঞ্চগড় সমকাল সুহৃদ সমাবেশের অস্থায়ী কার্যালয়ে। সেখান থেকে ছুটে চলেন পঞ্চগড়ের ঐতিহ্যবাহী রাজারপাট ডাঙ্গা মিনি স্টেডিয়ামে। উদ্দেশ্য পঞ্চগড় সমকাল সুহৃদ সমাবেশের বার্ষিক শিক্ষা সফর।
বনভোজনে আনন্দ-আড্ডা আর শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে শীতের সময়ই মিনি স্টেডিয়ামের খোলা মাঠ সুহৃদদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। সুহৃদ সভাপতি ও শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সুহৃদ সমাবেশের প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষক আজহারুল ইসলাম জুয়েল, উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সমকালের পঞ্চগড় প্রতিনিধি সফিকুল আলম বক্তব্য দেন।
সঞ্চালনায় ছিলেন পঞ্চগড় সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব। এ সময় ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী আতিক হোসেন লাবু এবং আবু বক্করসহ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপদেষ্টারা।
দিনভর আড্ডা, গান-বাজনা, খেলাধুলা, হইহুল্লোড়ে কখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে যায়, সেদিকে যেন খেয়াল নেই কারোর। দীর্ঘদিন পর এমন এক আনন্দঘন দিন উদযাপন করতে পেরে সুহৃদ সমাবেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুহৃদরা। v
সমন্বয়ক সুহৃদ সমাবেশ, পঞ্চগড়
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ার আনন্দ অন্যরকম ছিল: মিম
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সেই উৎসবে একাত্ম হয়েছেন রূপালি ভুবনের তারকারাও।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের ভাবনা ও স্মৃতিকথা জানিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। এ অভিনেত্রী বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমার কাছে সত্যিই আনন্দের একটা দিন। ছোট থেকেই এই দিনটা আমরা উদযাপন করি। ছোটবেলার নববর্ষ উদযাপন নিয়ে নানা স্মৃতি রয়েছে। এই দিন উপলক্ষে ঈদের মতো আমরা নতুন জামা কিনতাম। আমরা ভোলা এবং কুমিল্লাতে ছিলাম, ওখানে মেলা হতো, সেই মেলায় যেতাম। নববর্ষ বলতে এমনই নানা সুন্দর স্মৃতি রয়েছে।”
ছোটবেলার বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, “ছোটবেলার পহেলা বৈশাখ মানেই আমার কাছে ছিল মেলা। আমি তো মফস্বলে বড় হয়েছি, তাই মেলায় যাওয়া, আর সেখানে গিয়ে নাগরদোলা চড়াটা ছিল আমার কাছে অন্যরকম আনন্দের। মেলায় বিভিন্ন খাবার পাওয়া যেত। যেমন— মিষ্টি। এগুলো খাওয়ার অন্যরকম মজা ছিল। এগুলো এখন ভীষণ মিস করি।”
আরো পড়ুন:
সনির সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে মিম
স্বামীকে নিয়ে টাইমস স্কয়ারে মিম
পরিবারের সঙ্গে বৈশাখ উদযাপন করছেন মিম। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “এবারের পহেলা বৈশাখ পরিবারের সঙ্গেই কাটাচ্ছি। যত বড় হচ্ছি, ততই এমন উৎসব উদযাপনে বাইরে খুব কমই যাওয়া হয়। বাসায় যেটা হয়, সেটা হল নানারকমের খাওয়া-দাওয়া। মা পান্তা ভাত রাখেন, আর সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, নানারকমের ভর্তা আরো অনেক পদ থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়।”
“পহেলা বৈশাখের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি, মা মাটির বাসনপত্র ও প্লেটে সমস্ত ধরনের খাবার-দাবার, তারপর ফুল দিয়ে টেবিল সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন। এদিন সকলে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া করি, বন্ধুবান্ধবরা বাড়িতে আসেন, ছবি তুলি। এবারো এমনই হবে। বাসাতে হইহই করে নববর্ষ উদযাপন করব।” বলেন মিম।
ঢাকা/শান্ত