এবার মানবতার জন্য মার্চ কর্মসূচি শুরু করেছেন আলোচিত হানিফ বাংলাদেশি। রোববার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে তিনি এ কর্মসূচি শুরু করেন। সোমবার দুপুরে জেলা শহর প্রদক্ষিণ করেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের সদস্য বরগুনার সাকিব আল হাসান ও কুড়িগ্রামের মাইদুল ইসলাম মুকুলও ছিলেন। এবার তাঁর সংগঠন বাংলাদেশ সমতা পার্টির ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ নিয়ে হানিফ বাংলাদেশি জানান, মানবিক বাংলাদেশ এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে তেঁতুলিয়া থেকে মার্চ ফর হিউম্যানিটি শুরু করেছি। বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে অমানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এটা চাননি। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ একটি ফ্যাসিস্টদের কবলে ছিল। মানুষ মনে করেছিলেন, এদের পরিবর্তন হলে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। কিন্তু দিন দিন ভিন্নমতের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি। প্রতিদিন একটি জেলা প্রদক্ষিণ করে মার্চে টেকনাফে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম নবত ব র ধ

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো ‘শয়তান’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সারাদেশে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কোনো শয়তান যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে পালাতে না পারে। আমরা কোনো অপরাধীকে রাস্তায়, বাজারে, মাঠে, ময়দানে, রাজপথে কোথাও দেখতে চাই না। প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে চাই। তাদের বিচার নিশ্চিত করতে চাই। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হতে বলবো।

সোমবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের অডিটরিয়ামে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবহিত আছেন যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুস্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে, কিন্তু তাদের দোসররা দেশে বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা এদেশের জনগণের সম্পদ অন্যায়ভাবে লুটপাট করে অঢেল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছে। যারাই তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল তাদেরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়েছে, দলীয় বাহিনীর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে, অন্যায়ভাবে মামলা-হামলা দিয়ে হেনস্থা করেছে। গণমাধ্যমগুলো দখল ও নিয়ন্ত্রণ করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে শায়েস্তা করেছে। অনুগত পুঁজিবাদী শ্রেণি তৈরি করে সম্পদ লুণ্ঠন করেছে। সিভিল সার্ভিস ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন করেছে এবং আদালতের স্বাধীনতা খর্ব করেছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্যায়ভাবে ব্যবহার করেছে। বর্তমানে তারা বিগত ১৬ বছরে তাদের অর্জিত অবৈধ সম্পদ ব্যবহার করে অপশক্তির সম্পৃক্ততায় নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুস্কৃতিকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পুলিশ বাহিনী, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় এবং অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রেপ্তার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীসমূহের সমন্বয়ে গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সারাদেশের অভিযান সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করা হবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ সদরদপ্তর স্থাপিত ‘জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের’ মাধ্যমে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হবে।

গ্রেপ্তার অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে কর্মশালায় ঢাকা মহানগর ও গাজীপুর মহানগরের পুলিশ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর এবং দুই জেলার ডিসিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর ও জেলা প্রশাসনের সর্বমোট ১২০ জন ডেলিগেট অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসক ও গাজীপুর জেলা প্রশাসক; জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩১ জন, আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ২০ জনসহ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) ১০ জন উপকমিশনারসহ ৫৭ ওসি অংশ নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব মহানগর ও জেলা প্রশাসনকে এই কর্মশালার আওতায় আনা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ