মানবতার জন্য মার্চে হানিফ বাংলাদেশি
Published: 10th, February 2025 GMT
এবার মানবতার জন্য মার্চ কর্মসূচি শুরু করেছেন আলোচিত হানিফ বাংলাদেশি। রোববার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে তিনি এ কর্মসূচি শুরু করেন। সোমবার দুপুরে জেলা শহর প্রদক্ষিণ করেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের সদস্য বরগুনার সাকিব আল হাসান ও কুড়িগ্রামের মাইদুল ইসলাম মুকুলও ছিলেন। এবার তাঁর সংগঠন বাংলাদেশ সমতা পার্টির ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ নিয়ে হানিফ বাংলাদেশি জানান, মানবিক বাংলাদেশ এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে তেঁতুলিয়া থেকে মার্চ ফর হিউম্যানিটি শুরু করেছি। বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে অমানবিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। দেশের মানুষ এটা চাননি। দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশ একটি ফ্যাসিস্টদের কবলে ছিল। মানুষ মনে করেছিলেন, এদের পরিবর্তন হলে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। কিন্তু দিন দিন ভিন্নমতের স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি। প্রতিদিন একটি জেলা প্রদক্ষিণ করে মার্চে টেকনাফে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম নবত ব র ধ
এছাড়াও পড়ুন:
কীভাবে জিন জাতির সৃষ্টি হলো
ইসলামি ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী জিন হলো অগ্নি দেহী, বুদ্ধিমান অদৃশ্য জীব। আল্লাহর আদেশ পালনের জন্যই তাদের সৃষ্টি। তারা প্রয়োজনে নানা আকার ধারণ করতে পারে। পবিত্র কোরআনের অনেক সুরায় জিনের উল্লেখ আছে। যেমন ‘সুরা জারিয়াত’-এর ৫৬ আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘আমার সেবার জন্যই আমি মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি।’
আরবি ‘জিন্ন’ থেকে জিন শব্দটি এসেছে। জিন্ন অর্থ আচ্ছন্ন বা মোহাবিষ্ট করা। কারও ওপর পাগলামি ভর করলে চলতি ভাষায় তাকে বলে ‘মজনু’, যার মূল শব্দ মাজনুন বা ভূতগ্রস্ত। মানে যাকে জিন আছর করেছে।
এর আরেকটি অর্থ ‘আবরণ’। জিন শব্দের ধাতু থেকে উৎপন্ন সব শব্দেই আবরণের অর্থ পাওয়া যায়। জিন ও মানুষের মাঝে টেনে দেওয়া হয়েছে আবরণ। ফলে মানুষ তাদের দেখতে পায় না, কিন্তু তারা ঠিকই মানুষকে দেখতে পায়। আল্লাহ তায়ালা জিন ও শয়তানদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘সে (শয়তান) ও তার দলবল তোমাদের যেভাবে দেখতে পায়, তোমরা তাদের সেভাবে দেখতে পাও না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ২৭)
আরও পড়ুনজীবনে একবার হলেও যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি (সা.)১৩ মার্চ ২০২৫জিন জাতি কারা
প্রাক-ইসলাম আরবে জিন সম্পর্কে এক রকম ধারণা প্রচলিত ছিল। তবে তা পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত জিন থেকে আলাদা। ইসলামের আবির্ভাবের আগে আরবের মানুষ জিন বলতে বুঝত মরুবাসী পরি বা বনদেবতাকে। তাদের মানুষের শত্রু বলে গণ্য করা হতো।
কিন্তু পবিত্র কোরআনের জিন সে রকম কোনো অপদেবতা নয়। তারা মানুষের মতোই আল্লাহর সৃষ্ট এক ধরনের জীব। তাদের মধ্যে ভালো-মন্দ উভয়ই আছে। মানুষ ও জিন উভয়েরই হেদায়তের জন্য আল্লাহ কিতাব ও নবীদের পাঠিয়েছেন। আর মন্দ কাজের জন্য মানুষের মতোই তাদের শাস্তি পেতে হবে।
পবিত্র কোরআনের ‘সুরা আনাম’-এর ১৩০ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি বলব, হে জিন ও মানুষ সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্য থেকে কি রাসুলরা তোমাদের কাছে আসেনি যারা আমার নিদর্শন তোমাদের কাছে বয়ান করত এবং তোমাদের এদিনের মোকাবিলা করার জন্য সতর্ক করত?’
অন্য ধর্ম কী বলে
অন্যান্য ধর্মও জিনের কথা বলে। খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীরা মনে করেন, সব জিনই ইবলিস শয়তান। তাদের মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই। সৃষ্টি গতভাবে তারা মানুষ থেকে শক্তিশালী। তারাই মানুষের সব পাপের নেপথ্যে ক্রিয়াশীল। তাই তাদের অপবিত্র আত্মা বা শয়তানের আত্মা বলে ডাকা হয়। (আল-মাওসুআতুল ইয়াহুদিয়া, ৫/১৫২৬)
ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থ তালমুদ অনুসারে, ‘শয়তান অর্থাৎ জিন কয়েক ধরনের, যাদের ভিন্ন ভিন্ন উপাদান থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের কাউকে সৃষ্টি করা হয়েছে আগুন থেকে, কাউকে পানি থেকে, কাউকে আবার বাতাস থেকে। মাটি থেকেও তৈরি করা হয়েছে তাদের এক দলকে। তবে সবার রুহ সৃষ্টি করা হয়েছে চাঁদের আলোর এক বিশেষ ধরনের উপাদান দিয়ে।’ (আসাতিতুল ইয়াহুদ, লুইস গিন্সবার্গ, ১/২১৩)
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫জিনের উদ্ভব
‘সুরা হিজর’-এর ২৭ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘খুব গরম বাতাসের ভাপ থেকে আমি জিন সৃষ্টি করেছি।’ আর সুরা রহমানের ১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তিনি (আল্লাহতায়ালা) জিনদের সৃষ্টি করেছেন ধোঁয়াহীন অগ্নিশিখা থেকে।’
জিনদের আল্লাহ তায়ালার মানুষের মতোই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মানুষ ও জিনকে একমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ৫৬)
মানবজাতির মতো কিয়ামতের মধ্য দিয়ে জিনেরাও ধ্বংস হয়ে যাবে। হাশরের ময়দানে মানুষের সঙ্গে তাদের হিসাব-নিকাশ হবে, বুঝিয়ে দেওয়া হবে ভালো ও মন্দ কর্মের প্রতিদান। সুরা হুদ-এর ১১৯ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি জিন ও মানুষ উভয়কে দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করব।
আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩