ভারত ও পাকিস্তানকে যে কারণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফেবারিট মনে করেন মুরালি
Published: 10th, February 2025 GMT
দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। শুরু হয়ে গেছে ভবিষ্যদ্বাণীও। কে জিতবে এই টুর্নামেন্ট? সুনীল গাভাস্কারের চোখে ভারত ফেবারিট। রবি শাস্ত্রী পাকিস্তানকেও পিছিয়ে রাখছেন না। রিকি পন্টিং আবার ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে কাউকে ফেবারিট হিসেবে দেখছেন না। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরনও মুখ খুলেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফেবারিট নিয়ে।
আরও পড়ুনবাবরকে নিয়ে কেউ ঠাট্টা করলে ভালো লাগে না পাকিস্তানি এই মডেল-অভিনেত্রীর১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৩৪৭ উইকেটশিকারি মুরালিধরন মনে করেন, এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে সর্বশেষ ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। অর্থাৎ এবারও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফাইনালের আশা করছেন মুরালিধরন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে পাকিস্তান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে পিটুনি
পঞ্চগড়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে আটক করে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে পঞ্চগড় জেলা শহরে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা তিনটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশ।
আটক ওই শিক্ষক পঞ্চগড় জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি বিবাহিত, তাঁর দুই সন্তান আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি গ্রামে।
ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মুঠোফোনে স্কুলছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি আছে বলে দাবি করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। অপর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কয়েক মাসে আগেও তাঁর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সুলতান জুলকার নাইন মুঠোফোনে বলেন, এর আগে এক ছাত্রীর মুঠোফোনে আপত্তিকর ভিডিও পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এক ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি অভিযোগ করেছিল। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ এটি তদন্ত করেছিল। বিষয়টি আরও তদন্তের জন্য তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তারপরও ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা শহরের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে পাঁচ ছাত্রীকে উচ্চতর গণিত পড়াচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। প্রাইভেট শেষে চার ছাত্রী চলে গেলেও এক ছাত্রী থেকে যায়। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই শিক্ষককে আটক করেন এবং মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে অটোরিকশায় করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে নিয়ে যায়। সেখানেও ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা এসে তাঁকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী তরুণ আসিফ আহমেদ বলেন, ‘ওই শিক্ষক তাঁর প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করতেন বলে আমরা বেশ কিছুদিন আগে অভিযোগ পাই। পরে আমরা বুধবার দুপুরে তাঁকে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখি। ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমরা তাঁকে আটক করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নিয়ে যাই।’
মিরাজ ইসলাম নামের অপর এক তরুণ বলেন, ‘ওই শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন বলে আমরা অন্য এক ছাত্রীর মাধ্যমে খবর পাই। এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করে কয়েক দিন আগে সেখানে গেলে তিনি টের পেয়ে সেখান থেকে চলে যান। আজ দুপুরে আবারও গিয়ে একটি মেয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাই। মেয়েটার সঙ্গে কথা বলে তাকে তার বাবার হাতে তুলে দিই। আমরা বিচারের জন্য ওই শিক্ষককে ডিসি অফিসে নিয়ে যাই। এসব ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ওই শিক্ষকের মোবাইলে অনেক এভিডেন্স আছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ওই শিক্ষক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সে (মেয়েটি) আমার স্টুডেন্ট ছিল। আমার মনে হয়, তাকে আমার পেছনে কেউ লাগিয়ে দিয়েছে। সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিল। আজকে সে আমার পাশে বসে ছিল।’
ওই শিক্ষককে পঞ্চগড় সদর থানায় আনার পর তাঁর স্ত্রী আসেন। সেখানে তাঁর স্ত্রী দাবি করেন, ‘আমার স্বামী এ রকম নয়। ৯ বছর ধরে আমি তার সঙ্গে সংসার করছি। তার মধ্যে এ রকম খারাপ কিছু দেখিনি।’
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এস এম সোহরাওয়ার্দী প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আলামত সংগ্রহ করে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।