কক্সবাজারে আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 10th, February 2025 GMT
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও চলছে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষ এ অভিযানে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। তারা প্রত্যেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
১৪ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ। আটকদের মধ্যে আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কক্সবাজার জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল উদ্দিন, রাজাপালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রেজাউল করিম, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেত নূর মোহাম্মদ ওরফে খুইল্লা মিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি আয়েশা সিরাজ, শ্রমিক লীগ নেতা নুরুল আলম, কক্সবাজার পৌর ছাত্রলীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকতার কামাল সোহেল, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা, সাইফুল, পেকুয়া রাজাখালী ইউনিয়ন সৈনিক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান, ছাত্রলীগের নেতা মো.
শুক্রবার গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সেদিন রাত থেকেই যৌথ বাহিনী বিশেষ এই অভিযান শুরু করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন তারা’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। জনগণও প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে সার্বিক বিষয়ে দলের উদ্বেগের বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা বিএনপির দায়িত্ব। বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করেছে।’
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাহিনীর সামনেই একের পর এক ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপন্ন হয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা এসব বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
‘আমরা যেটা বারবার বলে এসেছি, এ সরকার অন্তর্বর্তী কালীন সরকার। সুতরাং দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা তাদের আবারও তাগাদা দিয়েছি’ উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, তারা ন্যূনতম সংস্কারের ক্ষেত্রে আলোচনার পর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে কথা বলেছি। এ সরকারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তারা কাজ করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি এসেছে। বিএনপি বলেছে, বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্টে’ যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনোভাবেই একমত হব না। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা আগেও পরিষ্কার করে বলেছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।