ভাই নেই, তাই মেয়ে হয়েই বাবার সঙ্গে করতেন কৃষিকাজ। সাতসকালে কাঁচি হাতে বেরিয়ে পড়তেন ক্ষেতের উদ্দেশে। কাজ শেষ করেই আবার যেতে হতো কলেজে। কখনও একবেলা খেয়ে আবার কখনও না খেয়েই পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন আশা আক্তার। এত প্রতিকূলতা স্বত্ত্বেও এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন গোপালগঞ্জ মেডিকেলে। কিন্তু চরম দারিদ্রতায় মাঝে মাঝে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কীভাবে এখন পড়বেন মেডিকেলে, কীভাবে মেটাবেন হোস্টেল ও পড়াশোনার খরচ। এসব দুশ্চিন্তায় আধাঁর যেন কাটছেই না আশার।

আশা ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চরজ্ঞানদিয়া গ্রামের কৃষক আলমগীর বিশ্বাস (৪৮) ও সোনিয়া বেগম (৩৮) দম্পত্তির ছোট মেয়ে।

আশার বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই আশার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তাই মেয়েকে পড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করি। অভাবের সংসারে খেয়ে না খেয়েই মেয়ে দুইজনকে পড়ালেখা করিয়েছি। তারা খুব কষ্ট করে। এখনও আমার সঙ্গে ক্ষেতে কৃষিকাজ করে। কাজ শেষ করে আবার পড়তে বসতো তারা। এভাবেই এতে পরিশ্রম করে মেয়ে আমার চান্স পেয়েছে মেডিকেলে। তারপরও দুশ্চিন্তায় থাকি পড়াশোনার খরচ মেটাবো কীভাবে। 

আশার মা সোনিয়া বেগম বলেন, মেয়ে আমার প্রাইমারি থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিং পর্যন্ত অনেকগুলো বৃত্তি পেয়েছে। কোচিংয়ে সর্বোচ্চ মার্ক পাওয়ায় তার ফি কম নিয়েছে। স্যারেরা তার সৌজন্য বইয়ের ব্যবস্থা করেছে। মানুষের এতো সহযোগিতা না পেলে আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হতো না। আমাদের এমন অবস্থা নেই যে, আশার আগামী চার বছরের পড়াশোনার খরচ চালাবো। কেউ যদি আমাদের সাহায্য করতো, তাহলে আমাদের এই যাত্রা সহজ হতো।

আশা বলেন,  চলতি মাসের ২ তারিখে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে আমার ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু হোস্টেলের ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত দেয় নি। ক্যান্টিন থেকে দুই বেলা খাবার দেওয়ার কথা বলেছে। প্রতিদিন তার জন্য ৮০ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে জানিয়ে আশা বলেন, একাডেমিকের ৪ বছরের কোর্স শেষ করে ইন্টার্ন করার সময় ডাক্তারির সাবজেক্ট চুজ করতে হয়। তবে আমি ছোটবেলা থেকেই সার্জারি করার খুব ইচ্ছা। বিশেষ করে কার্ডিওলজি সার্জন। তা না হলে নিউরোলজি সার্জন হওয়ার আগ্রহ রয়েছে আমার। 

সংসারে সংগ্রামের বিষয়ে আশা বলেন, আমি পরিশ্রম করতে শিখেছি আমার মায়ের কাছ থেকে। বাবার আয় কম দেখে মা সংসারে বাড়তি আয় করতে হাস মুরগি ছাগল লালন পালন করতো। সাথে বাবার কৃষি কাজে সহায়তা। তাছাড়া আমার মানুষকে সাহায্য করতে ভালো লাগে।

তিনি বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ষ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সোমবার দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল

স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ হওয়ায় সোমবার (১৪ এপ্রিল) দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান।

শায়রুল কবির খান জানান, শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি স্ত্রীসহ আগামী ১৪ এপ্রিল দেশে ফিরবেন।

আরো পড়ুন:

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: বিএনপি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল

গত ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সিঙ্গাপুরে যান।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে কারণে বৈশাখী অনুষ্ঠান বাতিল করল ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী
  • পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বাতিল করল ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী
  • পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠান বাতিল করল ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী
  • ‘র‍্যাব পরিচয়ে’ নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন সাগর, অবশেষে ধরা
  • বাড়ি ফেরার পথে যুবককে পেছন থেকে গুলি
  • বাড়ি ফেরার পথে যুবককে পেছন থেকে গুলি, পাঠানো হলো ঢাকায় 
  • জীবন বদলে দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের উদ্যোগ
  • মেসি না রোনালদো, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
  • রোনালদো না মেসি, কার ভক্ত ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ?
  • সোমবার দেশে ফিরবেন মির্জা ফখরুল