অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান দীর্ঘায়িত করা যৌক্তিক হবে না
Published: 10th, February 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকারকে অনেক সময় অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কারণ সরকার কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর নয়, বরং ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মত, সবারই প্রতিনিধি। অন্তর্বর্তী সরকার যদি তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করে, তাহলে তা যৌক্তিক হবে না।
সোমবার রাজধানীর মোমেনবাগে খান ফাউন্ডেশনের ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস, ছাত্র-জনতা এখন কোথায়?’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি এবং ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস এ আয়োজন করে।
ড.
দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ও খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রোখসানা খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহাসচিব সাইফুল হক, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, অতীশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান সামসুল আলম লিটন, সাংবাদিক মাসুদ কামাল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের ফল পেতে ধৈর্য ধরুন: আসিফ মাহমুদ
গণঅভ্যুত্থানের ফল পেতে দেশের জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “দেশের জনগণ একটি রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের পরেও ধৈর্য সহকারে যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে, বড় ধরনের কোনো রক্তপাত হয়নি, আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছে সেখান থেকে আমরা আশ্বস্ত হতে পারি। আমরা আশা করি, দেশের জনগণ দেশ পুনর্গঠনেও ধৈর্য এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই গণঅভ্যুত্থানের যেই ফসল দেশের মানুষ পেতে চায় তা বাস্তবায়নে সবাই সহযোগিতা করবে।”
অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরায়ণের যে দায়িত্ব নিয়েছে সেই কাজে দেশবাসী সহযোগিতা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণরা যেভাবে আত্মত্যাগ করেছে দেশের জন্য, দেশ পুনর্গঠনেও একইভাবে এগিয়ে আসবে এমন আশা প্রকাশ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “প্রত্যেকটা সেক্টরে তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তারা তাদের সর্বোচ চেষ্টাটা করবে।”
তিনি আরো বলেন, “এই গণঅভ্যুত্থান জাতিকে একটি স্বপ্ন দেখিয়েছে একটি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। কমিশনগুলো তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। স্টেকহোল্ডার কনসালটেশনের মাধ্যমে সে প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামোর যে অঙ্গগুলো ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে সেগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবার পথে অগ্রসর হবে।”
ঢাকা/রায়হান/ইভা