ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তেহরানের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আজ সোমবার তেহরানের আজাদি স্কয়ারে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দেশটিতে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের ৪৬তম বার্ষিকী পালিত হয় আজ। এ উপলক্ষে অনেকেই ‘যুক্তরাষ্ট্রের মৃত্যু’ স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি শুরু করেন। তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বন্ধে দেশটির জ্বালানি তেল রপ্তানি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তিনি আরও বলেছেন, তেহরানের সঙ্গে যাচাই করা পারমাণবিক শান্তিচুক্তি করতে চান তিনি। এ নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করতে চান।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আলোচনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আন্তরিক হলে তারা কেন আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়?’ তিনি আরও বলেন, তেহরান যুদ্ধ চায় না। তবে বিদেশি চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, আজ হাজারো মানুষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের চাপের বিরুদ্ধে একতা প্রদর্শনে মিছিল করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।

প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ