শিক্ষক ছবিরুলকে একাডেমিক–প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
Published: 10th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ছবিরুল ইসলাম হাওলাদারকে যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তাঁর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বছরের ২১ নভেম্বর এক আদেশে ছবিরুল ইসলাম হাওলাদারকে আরবি বিভাগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়। একই আদেশে বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক মো.
ওই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন ছবিরুল ইসলাম। আদালতে তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম মাহিদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা সুলতানা।
পরে আইনজীবী এস এম মাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুটি সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েই রিট করা হয়। ছবিরুল ইসলামকে আরবি বিভাগের যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আরবি বিভাগের সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া এবং বিভাগের যাবতীয় একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির পৃথক সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
মাদক ব্যবসার কাজে বাধা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকায় আইনজীবী মো.শরীফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবী বাদী হয়ে ওই এলাকার মো. সোহাগ (২৫), মো. মাহফুজ মিয়া (২১), আমান মিয়া (৫০), অয়ন (১৯) ও মোসা. মুন্নীকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, 'গত শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাসী সোহাগের নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির গেইট, দরজা, জানালা ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করেন। তারা এলাকায় চুরি ও ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসা করে থাকে।
এ ছাড়া এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করলে চাঁদা না দিলে মারধরসহ হুমকি দেয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বিবাদীদের মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করে বাধা নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একই দিন দুপুরে আমি এবং আমার স্ত্রী বাড়ি ফেরার পথে চাপাতি, চাকু, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমাদের পথরোধ করে। আমার স্ত্রী বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং আমাকে মারধর করে টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।'
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।