সিদ্ধিরগঞ্জে আ’লীগের স্বপন মন্ডলের লোকজন এখন আসলামের বিএনপিতে
Published: 10th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস.এম স্বপন মন্ডলের সহযোগীরা গত ৫ আগষ্টের পর কৌশলে মিলিত হয়েছে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে।
আওয়ামীলীগ আমলে স্বপন মন্ডলের সাথে থেকে তাদের করা বিভিন্ন অপকর্ম ঢাকতে সবাই বিএনপি নেতা শ্রমিক দলের আহবায়ক এসএম আসলাম মন্ডলের ছায়াতলে যুক্ত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আর আসলাম মন্ডলও নিজ বলয় ভারী করতে আওয়ামী লীগের এসব নেতাদের বিএনপিতে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি আসলাম মন্ডলের বিএনপির বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে দেখা মিলছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মো: হাবিব মন্ডল সহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের গণহত্যায় জড়িত শ্রমিক নেতা জাহিদ হোসেন মত অনেক আসামিদেরও।
এভাবে কোনো কিছু যাচাই না করে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে আওয়ামীলীগ নেতাদের অনুসারীদের সঙ্গী করায় বিএনপির ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। বিগত দিনে এরা আওয়ামী লীগের সাথে থাকলেও এখন আগাগোড়া বিএনপি হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করতে চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গডফাদার খ্যাত শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় স্বপন মন্ডল নিজ এলাকায় এমন কোনো অপকর্ম নেই যা করেননি। বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দেয়া, চোড়াই তেলের ব্যবসায় একছত্র আধিপত্য, কিশোর গ্যাং পরিচালনা থেকে শুরু করে সবই হয়েছে স্বপন মন্ডল ও তার অনুসারীদের নির্দেশে।
এছাড়া গত জুলাই-আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র জনতার উপর হামলা করে স্বপন মন্ডল এবং তার ক্যাডাররা। তবে এরপরও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বপন মন্ডলের অনুসারীরা বিএনপির আসলাম মন্ডলের সাথে মিশে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে আওয়ামী লীগের যারা এখন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করছে যারা করাচ্ছে দল তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ রাখবো নিজ দলের ক্ষতি করবেন না কাউকে দলে অনুপ্রবেশ করিয়ে। ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের সাথে যদি কারও সম্পর্ক থেকে থাকে তা যদি প্রমাণিত হয় তার সদস্য পদ থাকবে না।'
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ত কর ম ব এনপ র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে : মামুন মাহমুদ
এড. তৈমুর আলম খন্দকার, এটিএম কামালসহ অনেকের নাম উল্লেখ করে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, সামন্য লোভ লালসার মোহে কিংবা ভয়ে ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের অনেক নেতৃত্ব। অথচ দলের জন্য তাদের বহু ত্যাগ ও অবদান ছিল। তাই তাদের মত ভুল করা যাবে না।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় গ্রিন গার্ডেন পার্টি সেণ্টারে, জেলা বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে মত বিনিময় সভায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এ সময় মামুন মাহমুদ আরও বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার গঠন হলো। বহু বড় বড় সন্ত্রাসী জেল থেকে বের হয়ে গেলে। অথচ এখনো আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসতে পারেননি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তারেক রহমান দেশে ফিরে না আসবে ততদিন আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবনা।
আমাদের প্রয়োজন সুশৃঙ্খল হওয়া। সুশৃঙ্খলভাবে দলীয় শৃঙ্খলা টিক রেখে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা দেশকে ভালোবেসেছি দেশে রয়েছি। যারা দেশকে ভালোবাসেননি সম্পদকে ভালোবেসেছেন তারা সম্পদ ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি এখনো পুরন হয়নি। অন্তর্র্বতী সরকারের ৬ মাস গত হয়েছে। এখনো নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। অথচ এ সরকারের কাজ হলো অবাদ সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহমদ টুটুল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মণ্টু মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর,বাংলাদেশ জাতীয়য়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক খন্দকার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া ও সদস্য সচিব মাওলানা হাবিব এহসানী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলনসহ জেলার সকল অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।