হবিগঞ্জ-২ আসনের (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান গ্রেপ্তার হয়েছেন। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ খানকে আনার জন্য পুলিশের একটি টিমকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স
সমাজবিরোধীরা কোনো ব্যক্তিকে হুমকি দিলে কঠোর ব্যবস্থা

বগুড়ায় ছু‌রিকাঘা‌তে স্কুলছাত্র নিহত 

গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নয় জন নিহত হওয়ার মামলায় আব্দুল মজিদ খান ২ নম্বর আসামি। এছাড়াও হবিগঞ্জ শহরে রিপন শীল হত্যা মামলায় তার নাম ৩ নম্বরে রয়েছে বলে ওসি আলমগীর কবীর জানিয়েছেন।

আব্দুল মজিদ খান ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী প্রার্থীর কাছে হেরে যান। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বাদী তিনি।

ঢাকা/আজহারুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাদ্রাসা থেকে শিক্ষকের সাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ায় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈদাশীরহাট নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কিশোর শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মারধরের শিকার ইয়াসিন আলী (১৫) উপজেলার সংকৈর গ্রামের বটতলী বাজার এলাকার সামিউল ইসলামের ছেলে। তাঁর বাঁ চোখ, নাক ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইয়াসিনের বাবা সামিউল ইসলাম বলেন, গত রোববার বিকেলে তাঁর ছেলে মাদ্রাসা থেকে একটি সাইকেল নিয়ে বাড়িতে আসে। পরে তিনি সাইকেলটি মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। গতকাল সন্ধ্যায় ইয়াসিন মাদ্রাসায় যায়। তখন শিক্ষক শাহ আলম তাকে বেধড়ক মারধর করেন। ছেলেটার চোখ, মুখ, নাক, কান ফেটে রক্ত পড়েছে; হাত-পায়েও আঘাত করেছে। খবর পেয়ে ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিনি।

সামিউল ইসলাম আরও বলেন, এভাবে চোরকেও কেউ পেটায় না। ছেলে সুস্থ হলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরার লাবিব বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর চোখে গুরুতর আঘাত আছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন আছে। তবে চোখের আঘাতটি গুরুতর হওয়ায় আমরা রেফার্ড করেছি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান মো. শাহিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আমার সাইকেল নিয়ে বাড়ি গিয়েছিল। পরে আামি সাইকেল খুঁজতে গিয়ে দেখি, সাইকেল নেই। ভ্যানে করে আমার কাজে চলে গেছি। পরে শুনি, আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ আলম ওই ছেলেকে শাসন করেছে। শাসন করতে গিয়ে বেজায়গায় লেগেছে। শিশুটি হাসপাতালে আছে। আমি খোঁজ নিয়েছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ