রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই যুগ পূর্তি উৎসব ২২ ফেব্রুয়ারি
Published: 10th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি'র (রুরু) দুই যুগ পূর্তি উৎসব আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার সকালে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তারা জানায়, উৎসবটি তিনিটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবনে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে কেক কেটে বেলুন-পায়রা উড়িয় দুই যুগ পূর্তি উৎসবের উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
দ্বিতীয়ধাপে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে অবস্থিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিসিডিসি) গ্যালারিতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক থাকবেন প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যরা আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন।
তৃতীয় ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হবে। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় র্যাফেল ড্র, স্মৃতিচারণসহ থাকবে সুনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ও মিউজিক ব্যান্ডের পরিবেশনা।
এ বিষয়ে রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লাবু হক বলেন, দুই যুগ মানে একটি মাইলফলক। রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সেই মাইলফলকে এখন। দুই যুগ সন্ধিক্ষণের এই মুহুর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই মূলত এই আয়োজন।
সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান মিলু বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি গৌরবের সাথে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার চর্চা করে আসছে। দেখতে দেখতে প্রাণের এ সংগঠনটি দুই যুগে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজস্ব প্রকাশনায় 'দ্বিযুগবার্তা' র মোড়ক উন্মোচন নতুনমাত্রা যোগ করবে।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি একটি ক্রিয়াশীল সাংবাদিক সংগঠন। যা ২০০১ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র প র ট র স ইউন ট র স গঠনট
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণের ভারে রুগ্ন তিন–চতুর্থাংশ হিমাগার
সব খরচ হিসাবে করে চলতি বছর যৌক্তিকভাবে হিমাগারের ভাড়া আট টাকা করা হয়েছে। বর্তমান উচ্চ ঋণের সুদহার, বিদ্যুৎবিল, মজুরিসহ অন্যান্য খরচ যেভাবে বেড়েছে তাতে ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই। তবে সরকার ঋণের সুদহার ও বিদ্যুত বিল কমানোসহ কিছু সহায়তা দিলে ভাড়া কমানো সম্ভব।
শনিবার রাজধানীর পুরানো পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএসএ)। সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিসিএসএর সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী। এ সময় সংগঠনটির জেষ্ঠ্য সহসভাপতি, সহসভাপতি ও পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা আজাদ চৌধুরী জানান, সারাদেশে বর্তমানে প্রায় ৪০০ হিমাগার রয়েছে। ব্যাংক ঋণ ও অন্যান্য পরিচালনা ব্যয় বহন করতে না পেরে এর মধ্যে তিন–চতুর্থাংশ অর্থাৎ ৩০০ এর মতো হিমাগার রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এদের মধ্যে কিছু হিমাগার ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
গত এক বছরে সুদ হার ১৫ শতাংশ ও অস্বাভাবিক হারে বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ছাড়া হিমাগারে আলু আনা–নেওয়া (লোডিং-আনলোডিং), কর্মীদের বেতনভাতাসহ আনুষঙ্গিক সব খরচই বেড়েছে। এসব ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে এ বছর আলু সংরক্ষণে কেজিপ্রতি ভাড়া দাঁড়ায় ৯ টাকা ৬২ পয়সা। তবে আলু চাষী ও আলু সংরক্ষণকারী ব্যবসায়ীদের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় ভাড়া ৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সমিতি। এই ভাড়া যৌক্তিক কি না তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যাচাই করতে পারে।
মোস্তফা আজাদ বলেন, গত বছর হিমাগার ভাড়া প্রতি কেজিতে ৭ টাকা ছিল। কিন্তু এই তথ্য গোপন রেখে এবং হিমাগার পরিচালন ব্যয় বিবেচনায় না নিয়ে কিছু মধ্যস্বত্তভোগী মনগড়া বক্তব্য ও কর্মসূচি দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে একটি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানান, হিমাগারে ৫০ কেজির বস্তায় আলু সংরক্ষণের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। গত বছর কেজিপ্রতি সাত টাকা করে ৫০ কেজির বস্তার ভাড়া নেওয়া হয় ৩৫০ টাকা। তবে দেখা গেছে, অতীতে অনেক ব্যবসায়ী এ নিয়ম না মেনে ৭০ থেকে ৭২ কেজি আলু বস্তায় ভরে হিমাগারে রেখেছেন। তারাও ভাড়া দিয়েছেন ৩৫০ টাকা করে। সেই হিসেবে তাদের কেজিতে ব্যয় হয়েছে পাঁচ টাকার মতো। এবার এ ধরনের অনিয়ম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ কারণেই একটি মহল অপপ্রচার ও ভাড়া কমানোর আন্দোলন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে হিমাগার মালিকেরা জানান, বস্তায় ১৫ থেকে ২২ কেজি আলু বেশি রাখায় তারা এতদিন এসবের ভাড়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আবার এ কারণে হিমাগারের আলুর ধারণক্ষমতাও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে যায়। এতে ১০ হাজার টনের একটি হিমাগারে বছরে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয় তাদের। এসব কারণে চারশ হিমাগারের মধ্যে প্রায় তিনশ হিমাগারই রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আরও বেশ কিছু হিমাগার ঋণ খেলাপীতে পরিণত হয়েছে।
হিমাগার মালিকের আরও জানান, দেশে আলুর চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন। এর মধ্যে হিমাগারের ধারণক্ষমতা ৪৫ টনের মতো। চলতি বছর আলু উৎপাদন হতে পারে ১ কোটি ২০ লাখ টনের মতো। সেই হিসেবে বিপুল পরিমাণে আলু হিমাগারের বাইরে থাকবে এবং পণ্যটির দাম সেভাবে বাড়বে না। এতে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। এমন বাস্তবতায় উদ্বৃত্ত আলুর রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
হিমাগার ভাড়া কৃষকদের সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পাঁচটি দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। এগুলো হচ্ছে— ঋণের সুদহার ১৭ শতাংশ (দন্ডসুদসহ) থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করা; বিদ্যুৎ বিলের ইউনিট প্রতি খরচ কমিয়ে ৫ টাকা করা; হিমগারের বিভিন্ন ব্যয়ের ওপরে ভ্যাট ও উৎসে কর প্রত্যাহার করা এবং ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় তিন মাসের পরিবর্তে বাৎসরিক করা। একই সঙ্গে হিমাগার খাতকে কৃষিশিল্প ঘোষণা করা।