Risingbd:
2025-02-11@02:08:55 GMT

খুলছে দেবতাখুম ভ্রমণের দুয়ার

Published: 10th, February 2025 GMT

খুলছে দেবতাখুম ভ্রমণের দুয়ার

পাঁচ মাস পর বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাখুম পর্যটককেন্দ্রে খুলছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এখানে ভ্রমণে থাকছে না কোনো বিধি-নিষেধ। তবে জেলার থানচি ও রুমা উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির গত ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত ও রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের গত ৪ ফেব্রুয়ারি স্মারকমূলে প্রেরিত পত্রের আলোকে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাখুম পর্যটন কেন্দ্রটি আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে সব পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো। জনস্বার্থে এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হলো।”

আরো পড়ুন:

মাউন্ট একঙ্কাগুয়া অভিযানে যাচ্ছেন জাফর সাদেক

ছুটির শুরুতেই সাজেকে সাড়ে ৩ হাজার পর্যটক

বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, “মঙ্গলবার থেকে পর্যটনকেন্দ্র দেবতাখুম পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক মাঠে থাকবে। সাদা পোশাকেও সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ।” 

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য দেবতাখুম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

এর আগে, গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবানে পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন। এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এই তিন উপজেলা ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে বান্দরবান, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি চার উপজেলায় গত ৭ নভেম্বর থেকে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় প্রশাসন। 

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ ব ন দরব ন ভ রমণ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি ডিসেম্বরেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে হবে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে ২০১৬ সালে চীনের সঙ্গে কী চুক্তি হয়েছিল তা জানে না তিস্তাপারের মানুষ। চীন তখন ওই পরিকল্পনা স্থায়ী হবে না বলে জানালেও এখন তারা দুই বছর সময় চেয়েছে। আমরা সময় দেবো, তবে শর্ত রয়েছে মহাপরিকল্পনায় নদীপারের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামত নিয়ে ঠিক করতে হবে এবং তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। 

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা রেলসেতু এলাকায় আয়োজিত তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে জানালে আমরা মানুষদের সরিয়ে নিতে পারি, তাতে জানমালের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে এ বিষয়ে বারবার বলছি, আবারও বলবো। তিস্তায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকা ভাঙনপ্রবণ। আমাদের তো চুক্তি হতে কিংবা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। কিন্তু এই বছরে আবারও নদী ভাঙবে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই ভাঙন এলাকা নিয়ে টেন্ডার করবে। সেইসঙ্গে তারা ডিজাইন চূড়ান্ত করবে। আগামী মার্চের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

তিস্তাপারের মানুষদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যখন অন্তবর্তীকালীন সরকার থাকবে না, তখন আমিও উপদেষ্টা থাকবো না। সেই সময় আমি আপনাদের কাতারে অতীতের মতো দাঁড়াবো এবং আওয়াজ তুলবো, যাতে এই সময়ের করা ভিত্তির উপর থেকে সেই সময়ের সরকার কাজ করতে পারে।

একই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, বিগত সরকার নতজানু পরাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তা সমস্যার কথা বলতে পারেনি ভারতের কাছে। মাথা উঁচু করে বর্তমান সরকার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করবে। 

তিনি বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে একটি খসড়া নিয়ে বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বিগত সময়ে ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতকে অনেক দিয়েছে। কিন্তু কিছুই আদায় করতে পারেনি। এ সময় তিনি চরাঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে হিমাগার স্থাপনসহ উত্তরে বিগত সময়ে বৈষম্যের বিষয়টি নজরে রেখে শিল্পায়নের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার বলে জানান।

তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক গণশুনানিতে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আতিক মুজাহিদ, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক ভরসা প্রমুখ।

এর আগে সকাল থেকে এই গণশুনানিতে অংশ নিতে রংপুরসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের তিস্তাপারের মানুষজন আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ঢল নামে নদীপারের এই আয়োজনে। গণশুনানিতে অংশ নেওয়া মানুষজন বলেন, শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঝুঁলিয়ে রাখা নয়, বরং বর্তমান সরকারের আমলেই এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চান তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
  • তিতুমীর কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
  • রোয়াংছড়ির দেবতাখুমে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কাল থেকে যেতে পারবেন পর্যটকেরা
  • বিচার তাৎক্ষণিক করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়: প্রধান উপদেষ্টা
  • হজে শিশু সঙ্গী নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব
  • চলতি ডিসেম্বরেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
  • বাইক্কা বিল ঘুরে পর্যটক নিরুৎসাহিত করার কথা বললেন মৎস্য উপদেষ্টা
  • সাজেকে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়, রাত কেটেছে ক্লাবঘর-মসজিদে
  • সাজেকে হোটেলের কক্ষ না পেয়ে বারান্দা-ক্লাবঘরে রাত কাটালেন ৪০০ পর্যটক