রোয়াংছড়ির দেবতাখুমে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, কাল থেকে যেতে পারবেন পর্যটকেরা
Published: 10th, February 2025 GMT
প্রায় দুই বছর পর আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে উঠে যাচ্ছে বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ দেবতাখুম ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা। পর্যটকেরা আগের নিয়মে রোয়াংছড়ি থানায় নিজেদের পরিচয় লিপিবদ্ধ করে দেবতাখুম ঘুরে আসতে পারবেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসক শামীম আরা এ কথা জানিয়েছেন।
দেবতাখুম পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলার দুর্গমে কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতার কারণে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। এই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৮ অক্টোবর জেলায় পর্যটক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত ৬ নভেম্বর জেলার চারটি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় বহাল রাখা হয়।
দেবতাখুম থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। পর্যটনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেবতাখুম পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য খুলে দিতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পর্যটকদের আগের নিয়ম অনুযায়ী রোয়াংছড়ি থানায় নাম-পরিচয়, মুঠোফোন নম্বর লিপিবদ্ধ করে প্রশাসনের নিবন্ধিত টুরিস্ট গাইড সঙ্গে নিয়ে দেবতাখুমে যেতে হবে। এ বিষয়ে টুরিস্ট গাইড সমিতিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে রোয়াংছড়ির শুধু দেবতাখুমে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, দেবতাখুমে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল থাকবে। এ জন্য নিরাপত্তার কোনো সমস্যা হবে না।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সর্বস্তরের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে দেবতাখুম থেকে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আজ রাতে অথবা আগামীকাল সকালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, তারা অতি দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছেন তারা’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অতি দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। জনগণও প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে সার্বিক বিষয়ে দলের উদ্বেগের বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা বিএনপির দায়িত্ব। বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করেছে।’
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাহিনীর সামনেই একের পর এক ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপন্ন হয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা এসব বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
‘আমরা যেটা বারবার বলে এসেছি, এ সরকার অন্তর্বর্তী কালীন সরকার। সুতরাং দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা তাদের আবারও তাগাদা দিয়েছি’ উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, তারা ন্যূনতম সংস্কারের ক্ষেত্রে আলোচনার পর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দ্রব্যমূল্যের ব্যাপারে কথা বলেছি। এ সরকারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তারা কাজ করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’ তিনি বলেন, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি এসেছে। বিএনপি বলেছে, বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্টে’ যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনোভাবেই একমত হব না। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা আগেও পরিষ্কার করে বলেছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।