অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, মব করলে আপনাদেরও ডেভিল (শয়তান) হিসাবে ট্রিট (গণ্য) করা হবে।

সোমবার রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া বার্তায় তিনি এই কথা বলেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন, আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল (শয়তান) হিসাবে ট্রিট (গণ্য) করা হবে।’

মাহফুজ আলম আরও বলেছেন, ‘আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না। আপনাদের কাজ না, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া।’

তিনি বলেন, কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, তৌহিদী জনতা! আপনারা দেড় দশক পরে শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহমকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে। জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে.

.. জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট আপন দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা থেকে বাঁচতে আইজিপিকে লিখিত আবেদন সংবাদকর্মীর

মামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন সংবাদকর্মী আবু হানিফ। গত ২ ফেব্রুয়ারি আইজিপির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগে তিনি বলেন, একটি মামলার মাধ্যমে আসামিরা তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকা দিলে মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিচ্ছেন। টাকা না দিলে অজ্ঞাত মামলায় আসামি করার হুমকি দিচ্ছেন। 

আবু হানিফ বর্তমানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের প্রোগ্রাম প্রোডিওসার হিসেবে কর্মরত। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলগাঁও থানায় একটি হামলা মামলায় তাকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় নাম ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সেই মামলায় সংবাদকর্মী আবু হানিফ ২০ নম্বর আসামি।

সংবাদকর্মী আবু হানিফ বলেন, মামলার বাদী সাব্বির হোসেন রাব্বির সঙ্গে কোনো পরিচয়, শত্রুতা নেই এবং তিনি আমাকে চেনেনও না। আমি কখনও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না।

তিনি আরও বলেন, মামলায় উল্লেখ করা ঘটনার আগ থেকেই আমি পাবনায় এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলাম। এর মধ্যে তৎকালীন সরকার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করলে আটকা পড়ি। সেখানে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে পাবনার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হই। এতে ১৫-১৬ দিন পাবনায় অবস্থান করে তারপর কর্মস্থলে ফিরে আসি।

মামলার আসামি হওয়ার আশঙ্কায় তিনি স্বাভাবিকভাবে অফিস করতে পারছেন না বলেও অভিযোগে জানান। তিনি জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ