ডেভিল হান্ট ফ্যাসিবাদ নির্মূলে ভালো উদ্যোগ: ইসলামী আন্দোলন
Published: 10th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অপারেশন ডেভিল হান্ট কর্মসূচির প্রসংশা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, “দেরিতে হলেও সরকার ফ্যাসিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে ভালো একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা আশা করব, সরকার এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরো সাহসি ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে সব অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন।”
সোমবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমতিয়াজ আলম আরো বলেন, “ডেভিল হান্ট কর্মসূচিতে নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আমরা আর কোনো ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না। কোনোপ্রকার বৈষম্য দেখতে চাই না। চাঁদাবাজ আর লুটেরাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। চিহ্নিত সব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।”
আরো বক্তব্য রাখেন আলহাজ আলতাফ হোসাইন, আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল, ডা.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র আলহ জ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। একুশে পদকপ্রাপ্ত পল্লীকবি ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ ৭৩ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই দিনই তাঁকে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয়।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় শহরের গোবিন্দপুর এলাকার পৈতৃক বাড়ির আঙিনায় কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল। এ ছাড়া কবির প্রতিষ্ঠিত আনসারউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবির সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
প্রসঙ্গত, ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীম উদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে লেখা তাঁর ‘কবর’ কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান। ‘নিমন্ত্রণ’, ‘আসমানী’ তাঁর বহুল পঠিত কবিতাগুলোর অন্যতম।
এ ছাড়া মধুমালা, বেদের মেয়ে, সোজন বাদিয়ার ঘাট, নকশী কাঁথার মাঠ, ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়, বাঙালির হাসির গল্প প্রভৃতি লেখায় মানুষের হাসি-কান্না, আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে গ্রামবাংলার শাশ্বত রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন।