বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডার মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা কিছুটা কমিয়েছি, তবে এটি বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। বৈধ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু নেই। বাংলাদেশ থেকে যে কোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাই।’’

এ সময় বাংলাদেশে কানাডার উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’’ দেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কানাডাকে তাদের উৎপাদন কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ‘বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার ও সুরক্ষা চুক্তি (এফআইপিএ)’ নিয়ে চলমান প্রযুক্তিগত আলোচনার বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন কানাডিয়ান মন্ত্রী।

আহমেদ হুসেন বলেন, ‘‘এফআইপিএ স্বাক্ষরিত হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা এতে উৎসাহিত হবেন এবং এটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করবে।’’

এ সময় কানাডাকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা  বলেন, ‘‘কানাডার একটি এলাকাকে ‘বেগম পাড়া’ বলা হয়, যেখানে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের পরিবার বসবাস করছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, কারণ এটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।’’

এ প্রসঙ্গে কানাডার মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা দুর্নীতির অর্থ বা লুটপাট করা সরকারি টাকা কানাডায় রাখতে চাই না।’’

বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কানাডার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে কানাডার মন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘আমি জানি, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের প্রতি তাদের আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন।’’

এ সময় বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতি কানাডার

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রচার ও সুরক্ষা চুক্তি (এফআইপিএ) নিয়ে কারিগরি আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় কানাডার মন্ত্রী বলেন, এফআইপিএ স্বাক্ষরিত হলে কানাডার ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবেন। তারা এটিকে একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখবেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশকে একটি উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশের যুবশক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে কানাডার শিল্প-কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করার অনুরোধ জানান।

উত্তরে কানাডার মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে যেকোনো বৈধ শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাই। কানাডায় শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা কমানোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে বাংলাদেশিদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়নি।

আমরা ভিসার সংখ্যা কমিয়েছি, তবে বাংলাদেশিদের জন্য কোনো বৈষম্য নেই। বাংলাদেশ থেকে বৈধ শিক্ষার্থীরা সবসময়ই স্বাগত, যোগ করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে পাচার অর্থ ফেরত আনতে কানাডার সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, কানাডায় ‘বেগমপাড়া’ নামে একটি এলাকা রয়েছে, যেখানে দুর্নীতিবাজদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছি, কারণ এটি সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে।

কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বা লুট হওয়া সরকারি অর্থ কানাডায় চাই না।

সাক্ষাৎকালে কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কানাডার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি জানি, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের এবং আপনার দলের ওপর অনেক আশা ও প্রত্যাশা রাখে।

প্রধান উপদেষ্টা ও কানাডার মন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কার্যক্রম, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা নিয়েও আলোচনা করেন।

সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতি কানাডার