‘মওকা’, ‘মওকা’ বিজ্ঞাপনের কথা কি মনে আছে?

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে তৈরি হওয়া এই বিজ্ঞাপন তখন আলোচনার তুঙ্গে ছিল। এখন হয়তো এ নিয়ে আর আলাপ আগের মতো নেই। কিন্তু ‘মওকা’ বা সুযোগ পেলে কে আর ছাড়ে!

ভারতের দর্শকেরা পাকিস্তানকে বা পাকিস্তানের দর্শকেরা ভারতকে খোঁচানোর পেলে কি আর কে ছাড়ে! সবশেষ এই উপলক্ষটা এনে দিল ফ্লাডলাইট। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। দুই দেশের দুই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট ম্যাচের মাঝপথে হঠাৎ নিভে যাওয়া নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি খোঁচাখুঁচি চলছে।

আরও পড়ুনউইলিয়ামসনের ‘মাস্টারক্লাস’, ফাইনালে নিউজিল্যান্ড২ ঘণ্টা আগে

গত শনিবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মাঝখানে ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যাওয়া নিয়ে পাকিস্তানিদের সঙ্গে মজা নিয়েছেন ভারতের দর্শকেরা। ঠিক পরের দিনই গতকাল কটকের বরবাটি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভারতের ম্যাচে তাদেরও একই রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।

গতকাল ঘটনাটি ঘটে ম্যাচের সপ্তম ওভারের সময়। ৩০৫ রান তাড়া করতে নেমে তখন ৬ ওভার ১ বল খেলে ৪৮ রান করেছে ভারত, তখনই স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের আলো কমতে থাকে। এরপর এক পর্যায়ে পুরো মাঠই হয়ে যায় অন্ধকার। আবার আলো ফিরতে ফিরতে লেগে যায় প্রায় ২০ মিনিট।
এমন ঘটনাটা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পাকিস্তানের কিছু সমর্থক এটাকে বলতে থাকেন ‘কর্মফল’। কেউ আবার আইসিসিকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কীভাবে এমন মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়। এমনকি কূটনীতিক সম্পর্ক নিয়ে খোঁচা দিয়ে এমন টুইটও দেখা গেছে, ‘আমরা কি চীন থেকে কিছু ফ্লাডলাইট এনে দেব?’

এই ঘটনায় যে শুধু পাকিস্তানের দর্শকেরা মজা করেছেন, তা নয়। এমনকি ভারতের সমর্থকদের অনেকেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন এই বলে, বিসিসিআই টাকার জন্য ছোট শহরগুলোতে খেলা ফেলে তাদের দুনিয়ার সামনে লজ্জায় ফেলছেন। বোর্ডের কাছে এত টাকা থাকতেও সামান্য ফ্লাডলাইট ঠিক রাখতে পারছেন না, তা নিয়েও ক্ষোভ ছিল তাদের।

বিষয়টি পৌঁছে গেছে সরকারি পর্যায়েও। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা ওডিশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে জানতে চেয়েছে রাজ্য সরকার। তারা অবশ্য কারণ হিসেবে বলেছে জেনারেটর নষ্ট হয়ে যাওয়াকে। কিন্তু ঘটনা যা ঘটার, তা তো এর মধ্যে ঘটে গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন

‘প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস-/তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।’এই ‘সর্বনাশ’কে যে কখন কার চোখে দেখে বসেন, আগেভাগে তা নির্ণয় করা কঠিন। একইভাবে ‘প্রেম একবারই এসেছিলো নীরবে’ গানের ‘একবার’টা যে কার জীবনে কখন কীভাবে চলে আসে, সেই হিসাবও মেলে না সহজে। স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে গিয়েও সহকর্মীর চোখে ‘সর্বনাশ’দেখতে পারেন কেউ। মনে হতে পারে, ‘লাগবে, তাকে আমার লাগবে। সে ছাড়া আর কিছু চাইনে।’ সহকর্মীকে ‘ভালোলাগা’র কারণও রয়েছে প্রচুর। কর্মক্ষেত্রে কাটাতে হয় দিনের একটা দীর্ঘ সময়। মিলেমিশে কাজ করতে হয়। যে কারণে একে অপরকে জানার সুযোগও তৈরি হয়। বিশেষ কোনো গুণ বা আচার-ব্যবহার কিংবা স্রেফ ভালোলাগার কারণেই ভালোলাগা; আর ভালোলাগা থেকে মায়া তৈরি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের অনেক সুবিধার কথাও অনেকে বলে থাকেন। তবে সুবিধা যার আছে, তার কিছু অসুবিধাও থাকে। তাই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারলে অসুবিধাগুলো এড়ানো সহজ হয়।

আচরণে সংযম

কথায় বলে, ‘যত থাকে গুপ্ত/ তত হয় পোক্ত/ যত হয় ব্যক্ত/ তত হয় ত্যক্ত।’ তাই ফলাও করে সম্পর্কের কথা জানান দেওয়া কিংবা স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে নানা অনুভূতি ব্যক্ত করার চেয়ে বিষয়টা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, পরে দেখা গেল, কোনো কারণে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা টানাপোড়েনের সৃষ্টি হলো, তখন অফিসে সহকর্মীদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তা ছাড়া সম্পর্কের বিষয়টা অফিসে অনেকে জানলে ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। বিশেষ করে ফিসফাস, কানাকানি, সমালোচনা ‍ও গুজবের মধ্যে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সম্পর্কের বিষয়টা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারলে অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, সহকর্মীদের কাছে এসব বিষয় গোপন রাখা কঠিন। তাই ফলাও করে না বললেই নিস্তার মিলল, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। নিজেদের আচার-আচরণ, চলাফেরা এমনকি কথাবার্তাতেও ব্যাপারটা যেন ফুটে না ওঠে, সেদিকে যেমন দৃষ্টি রাখতে হবে, তেমনই পেশাদার আচরণও বজায় রাখতে হবে।

আরও পড়ুনপ্রাক্তন মানেই কি প্রতিপক্ষ?২১ সেপ্টেম্বর ২০২২অফিসের নিয়ম জানুন

ভালোবাসার মতো ভালোবাসলে নিয়মকানুন পথ আটকাতে পারে না। না, কথায় কোনো ভুল নেই। তবে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে চাকরি হারানোর ঝুঁকিও কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না। প্রশ্ন করতে পারেন, চাকরি হারানোর ঝুঁকি, কীভাবে? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট চাকরিবিধি আছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক অনুমোদন করে না। কেন করে না? ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’। কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই স্বার্থ–সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রয়েছে পদোন্নতি, প্রণোদনাসহ নানা প্রত্যাশা। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে বিষয়গুলো নানাভাবে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাহলে উপায়? ভালোলাগা, ভালোবাসা তো আর পরিকল্পনা করে হয় না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়ে যায়। তাই প্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধির নিয়ম জেনে নিতে হবে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে চিন্তা রইল না। আর বিধিনিষেধ থাকলে সে ক্ষেত্রে যেকোনো একজনকে যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্র চাকরির চেষ্টা করতে হবে।

আরও পড়ুনআম্মার ভয়ে প্রেম করিনি, এখন আম্মাই বলে, তুমি খুঁজে আনো০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রেম ভেঙে গেলে

‘ব্রেকআপের ঝুঁকি’ সম্পর্কেও পূর্ণ ভাবনা থাকা জরুরি। কোনো কারণে সম্পর্ক ভেঙে গেলে সম্বোধন যেন ‘তুমি’ থেকে ‘তুই’তে গিয়ে না ঠেকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ, বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হবে। পাশাপাশি সহকর্মীদের কাছে নিজেদের সম্মান হারানোরও ঝুঁকি দেখা দেবে।

সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে প্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধির নিয়ম জেনে নিতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলপাতা আহরণে ডাকাত, সমন্বয়ক, সাংবাদিকদের নামেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
  • মুম রহমানের ‘সেরা দশ গল্প’ : বাস্তব, কুহক ও প্রেমের গরিমা
  • সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকবেন
  • আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বাতিল করল আয়ারল্যান্ড
  • ফিতরা কীভাবে হিসাব করব