যে কাজই করি না কেন ভয়ংকর বিষয়টা চলে আসে: মেহজাবীন
Published: 10th, February 2025 GMT
রোমান্টিক কাজ বরাবরই কম করেন নির্মাতা ভিকি জাহেদ। তার কাজ মানেই রহস্য আর ভয়ংকর ঘটনার বিস্ময়কর মেলবন্ধন। এ বছর ভালোবাসা দিবসে রোমান্টিক-থ্রিলারে ওয়েবফিল্ম নির্মাণ করেছেন ভিকি। নাম ‘নীল সুখ’। যেখানে বরাবরের মতই অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশ করা হয়েছে ‘নীল সুখ’-এর গান ও ট্রেলার। সেই সঙ্গে জানানো হয়, আগামী ১৮ ফ্রেরুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পাবে ‘নীল সুখ’।
এসময় মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমরা অনেক কিছুই মাথায় রাখি। সেটা শুরু হয় ৭ তারিখ থেকেই। ভিন্ন ধরনের রোমান্টিক কাজ নিয়ে আসার চিন্তা থেকেই ‘নীল সুখ’ ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এটি নির্মাণ করা হলেও কয়েকদিন পর মুক্তি পাবে। কারণ, এই দিবসটি উপলক্ষে বহু কন্টেন্ট নির্মাণ হয়। সেগুলো যদি একসঙ্গে মুক্তি পায় তাহলে কোনোটাই দর্শক ভালোভাবে দেখতে পারবে না। তাই আমরা ভালোবাসা দিবসের কয়েকদিন পর মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করেছি।’
নির্মাতা ভিকি জাহেদ কাজ মানেই রহস্য আর ভয়ংকর ঘটনা। যেমনটা দেখা গেছে ‘পুনর্জন্ম’, ‘রেডরাম’ বা ‘দ্য সাইলেন্স’-এ। সবগুলোতে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।
ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে খানিকটা মজার ছলে মেহজাবীন বলেন, ‘ভিকি জায়েদের সঙ্গে আমার অনেক কাজ হয়েছে। যার হিসাব আমার কাছেও নেই। তিনি যে ধরনের কাজ করেন তাতে স্বাভাবিকভাবে ছুরি-চাকুর ব্যবহার থাকে। কাজ করতে করতে এই ছুরি-চাকু আমারও পছন্দের হয়ে গেছে। এখন যে কাজই করি না কেনো ঘুরেফিরে সেই ছুরি-চাকু বা ভয়ংকর বিষয় আসে। যাহোক, আজকে গান ও ট্রেলার দেখার পর দর্শক রোমান্টিক কিছুর আভাস পাবে। তবে পুরো ফিল্মে বেশ কয়েকটি লেয়ার আছে। যারা রোমান্টিক কিছু দেখতে চান তাদের এই কাজটি ভালো লাগবে। আর যারা ভিন্ন কিছু দেখতে চান তাদেরও কাজটি ভালো লাগবে।’
‘নীল সুখ’ ওয়েব ফিল্মে অর্পা ও মারুফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও ফররুখ আহমেদ রেহান। প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে আসছেন তাঁরা।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জের ওয়েব সিনেমাটি প্রয়াত ঔপন্যাসিক, নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন ভিকি জাহেদ। হুমায়ূন আহমেদকে আদর্শ হিসেবে মানেন এই নির্মাতা। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো কাজ হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করলেন তিনি।
ভিকি জাহেদ বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল, আমার একটি কাজ হুমায়ূন (আহমেদ) স্যারকে উৎসর্গ করব। অবশেষে সেটা সম্ভব হলো। এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার বিষয়।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হজ ব ন চ ধ র কর ছ ন আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় ৩ খাবারের দোকানে জরিমানা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে খাবারের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চলাকালে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় তিন হোটেল মালিককে জরিমানা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়াবি) সকাল থেকে বটতলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত দোকানে এসব অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মামা-ভাগিনার রেস্টুরেন্ট’ নামের একটি হোটেলে গরুর মাংসের দাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ১২০ টাকার পরিবর্তে রাখা হচ্ছে ১৫০ টাকা। রুই মাছের নির্ধারিত দাম ৫০ টাকা হলেও বিক্রয় করা হচ্ছে ২০০ টাকায়। উচ্চমূল্যে পণ্য বিক্রয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এ হোটেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকার বাংলার স্বাদ রেস্টুরেন্ট ও নূরজাহান হোটেলকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামা-ভাগিনার হোটেল মালিক মো. সোহেল রানা বলেন, “প্রশাসন আমাদের মূল্যতালিকা দিলেও অতিরিক্ত দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমরা খাবারের মানও বৃদ্ধি করেছি। তাই দাম একটু বেশি রেখেছি। আর এরকমটা হবে না।”
কনজ্যুমার ইয়্যুথ বাংলাদেশ জাবি শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক হুসনী মোবারক বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।”
তিনি বলেন, “প্রতিবার ভর্তি পরীক্ষার সময় দোকানগুলোতে দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের এ অভিযান। সিওয়াইবির এ ধরনের অভিযান ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রতিনিয়ত চালু থাকবে। সিওয়াইবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের খাবারের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণের সর্বদা বদ্ধপরিকর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামা-ভাগিনা হোটেলে অভিযান চালানো হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে হোটেল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ রকম অভিযান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাসহ সবগুলো স্থানে চলমান থাকবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী