তসলিমা নাসরীনের বই রাখা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা–হট্টগোল, একটি স্টল বন্ধ
Published: 10th, February 2025 GMT
তসলিমা নাসরীনের বই রাখা নিয়ে অমর একুশে বইমেলার একটি স্টলে বাগ্বিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকা ‘সব্যসাচী’ নামের স্টলটি ঘিরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই স্টল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। স্টলে থাকা ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নেওয়া হয়েছে।
এই স্টলের বিরুদ্ধে নাস্তিকতা প্রচারের অভিযোগ তুলে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গতকাল রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়েছিল। এরপর আজ সন্ধ্যায় সেখানে এই ঘটনা ঘটল।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ওই প্রকাশনীর স্টলের সামনে কয়েকজন জড়ো হন। তাঁরা স্টল থেকে তসলিমা নাসরীনের বইগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেন। স্টলে থাকা ব্যক্তি তাঁদের কথার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। স্টলের সামনে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্লোগানের মধ্যে স্টলের ওই ব্যক্তি পাল্টা স্লোগান দেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলার মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্টলের ওই লোককে সরিয়ে নেয়। পরে স্টলটি ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বাংলা একাডেমির বইমেলা পরিচালনা কমিটির বৈঠক চলছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বইমেলায় গন্ডগোলের খবর তিনি শুনেছেন। একজনকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এর বেশি আর বিস্তারিত কিছু তিনি জানেন না।
স্টলটির সামনে বাগ্বিতণ্ডা চলাকালে ফেসবুক লাইভ করেন মুহাম্মদ আরিফ নামের একজন। তাতে দেখা যায়, স্টলের আলো বন্ধ করে দিয়ে কয়েকজন স্টলের ভেতর প্রবেশ করেন এবং ভাঙচুরের ঘোষণা দেন। এ সময় স্টলের ব্যানার খুলে ফেলার দাবি জানানো হয়। ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং স্টলের সামনে ত্রিপল টাঙিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।