সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যে সংস্কারে বিভক্তির গন্ধ পাওয়া যায় সেই সংস্কার মানুষ গ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, গণহত্যার বিচার হতেই হবে। যারা গণহত্যা, লুট, ছিনতাই করেছে এবং এদেশের মানুষের অধিকার, কথা বলার অধিকার, দেশের মানুষের সম্পদ লুট করেছে, যারা এই দেশের শিশু বাচ্চাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা কেউ যেনো বিচারের হাত থেকে রেহাই না পায় সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সংস্কারে পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

এসময় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাবনার কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, সংস্কার ঘোষণা দিয়ে হয় না। বাংলাদেশের মানুষ এই ধরণের সংস্কার কামনা করে না। এ দেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন।

এম জি

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

গুম-খুনে জড়িত সদস্যদের বিচার চেয়ে র‍্যাব কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদি মার্চ’ সদর দপ্তরের সাম

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) যেসব সদস্য গত ১৬ বছরে গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিচারের দাবিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব সদর দপ্তরের সামনে জুলাই মঞ্চ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম আজ শুক্রবার বিকেলে এই কর্মসূচি পালন করে।

এই কর্মসূচি থেকে জুলাই গণহত্যার বিচার, এই গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানানো হয়েছে।

‘শহীদি মার্চ’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিব হোসাইন বলেন, র‍্যাব বাংলাদেশে এমন সব কাজ করেছে, যার ফলাফল হিসেবে জাতিসংঘ ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো র‍্যাবকে নিষিদ্ধের পরামর্শ দিয়েছে। র‍্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক নিজে স্বীকার করেছেন, বিগত সময়ে র‍্যাব গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত ছিল। অথচ সাত মাস পার হলেও এখনো র‍্যাবের যে সদস্যরা গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করেনি র‍্যাব। পাশাপাশি চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে র‍্যাবের যাঁরা গণহত্যায় জড়িত, তাঁদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।

জুলাই মঞ্চের আরেক প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বর্তমানে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। যারা স্বৈরাচারের আমলে নিয়োগ পেয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত জুলাই মঞ্চের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শহীদি মার্চে সংহতি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, বিগত সরকার র‍্যাবকে দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্য খারাপ নন। যাঁরা আওয়ামী লীগের দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ কিংবা পদোন্নতি পেয়েছিলেন, তাঁরাই হাসিনাকে রক্ষা করতে ছাত্র–জনতার ওপর গুলি চালিয়েছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। পুরো বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না।

জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি অর্নব হুসেইনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে মুতাছিরুল ইসলাম, মুন্তাজুল ইসলাম, সুরাইয়া আন্তা, আব্দুল নুর তালুকদার, ফুহাদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার সহযোগী আসামি সাবেক আইজিপি মামুন
  • গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনার সঙ্গে আসামি হলেন সাবেক আইজিপি মামুন
  • জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন রাজনৈতিক নেতারা
  • ২ দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা
  • এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ
  • জাতীয় পার্টিকে বর্জন করুন, রংপুরবাসীর উদ্দেশে রাশেদ খান
  • আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই
  • সংবিধান ও বিচার বিভাগের সংস্কার ছাড়া ন্যায়বিচার সম্ভব নয় : মাও. কাইয়ুম
  • গুম-খুনে জড়িত সদস্যদের বিচার চেয়ে র‍্যাব কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদি মার্চ’ সদর দপ্তরের সাম