শূন্য পদে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। 

সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের মধ্যে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিকেলে মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ সম্পর্কিত দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। এ ছাড়া উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি দশম গ্রেডে উন্নতির বিষয়ে একটি পত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান ও কোর্সের নাম পরিবর্তন এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগের মতো বিষয়গুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরেও বিভিন্ন পক্ষ এবং কর্তৃপক্ষ সম্পর্কিত থাকায় সেগুলো পূরণ করা সময় সাপেক্ষ। তবে সেগুলো নিয়েও উভয়পক্ষের মধ্যে সৌহাদ্যপূর্ণভাবে বিস্তারিত আলোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হয়। এ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নোটস অব ডিসকাশনে উভয়পক্ষ সম্মত হয়ে স্বাক্ষর করে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে সব পক্ষের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা চলমান রয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখা, নাগরিক জীবন বিঘ্নহীন রাখা সর্বোপরি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করার জন্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর এলাকায় মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মো. হোসেন সরদার (৬০) ও মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি সুমন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। পৃথক দুটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

র‌্যাব- ৮ সদর দপ্তরে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল এলাকায় কাঠালতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মঙ্গলবার হোসেন সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিহতদের সম্পর্কে চাচা হন। শরীয়তপুরের পালং থানার আরিগা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুমন সরদারকে। 

র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গেছে মারামারি ঘটনায় উভয়পক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সম্প্রতি উভয়পক্ষের মধ্যে বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

৮ মার্চ গ্রেপ্তার হোসেন সরদারের নেতৃত্বে এজাহারনামী ৪৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০ জন আসামি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাইফুল সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাইফুল সরদার ও তার দুই ভাই প্রাণ বাঁচাতে সরদার বাড়ি মসজিদে আশ্রয় নেন। আসামিরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার ও তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করে। আরও কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। হামলার সময় আসামিরা চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। আহত পলাশ সরদার (১৮) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার