ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে আইএসইউ এর মহাখালী ক্যাম্পাসে এ সমঝোতা অনুষ্ঠিত হয়।

আইএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল খানের উপস্থিতিতে কোষাধ্যক্ষ এইচটিএম কাদের নেওয়াজ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.

আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তীর প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী মহাব্যবস্থাপক একেএম সাহেদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন ।

এ চুক্তির মাধ্যমে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আইএসইউতে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিশেষ ওয়েভার ও স্কলারশিপ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি এখন থেকে আইএসইউ এর শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণে হাসপাতালে নানা সুযোগ সুবিধা পাবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ এর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হক, রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক, এডমিশন ডিরেক্টর গিয়াস উদ্দিন, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার মহিউদ্দিন গাজী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আবু হেনা মো. শহিদুজ্জামান, এক্সিকিউটিভ কর্পোরেট মো. জোনায়েদ হাসান প্রমুখ।

ঢাকা/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমঝ ত

এছাড়াও পড়ুন:

চ্যাটজিপিটির এআই মডেল কি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

ওপেনএআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল জিপিটি–৪ওকে ‘মনস্তাত্ত্বিক অস্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁদের মতে, নতুন এআই মডেলটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি মানুষের আবেগের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি করে ধীরে ধীরে মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

সম্প্রতি এক্সে (সাবেক টু্ইটার) দেওয়া এক পোস্টে মারিও নাফাল নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবেই জিপিটি–৪ও মডেলকে মানবিক ও আবেগময় করেছে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজে এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ওই পোস্টে টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক সংক্ষেপে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘উহ–ওহ’।

মারিও নাফাল লিখেছেন, ‘ওপেনএআই ভুল করে জিপিটি–৪ও মডেলে অতিরিক্ত আবেগ যুক্ত করেনি। প্রতিষ্ঠানটি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক মডেল তৈরি করেছে, যা ব্যবহারকারীদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ তৈরি করে। বাণিজ্যিকভাবে এটি সফল কৌশল। কারণ, মানুষ সাধারণত এমন কিছু আঁকড়ে ধরে, যা তাদের স্বস্তি দেয়। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়, এমন কিছু তারা ধরে রাখতে চায় না। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি একটি ধীরগতির বিপর্যয়। যত বেশি মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আবেগের বন্ধন গড়ে তুলবে, তত বেশি বাস্তব জীবনের কথোপকথন কঠিন হয়ে উঠবে। সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি কমে যাবে, সত্যের জায়গা নেবে কেবল মানসিক প্রশান্তির খোঁজ। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে মানুষ স্বেচ্ছায় মনস্তাত্ত্বিক দাসত্বের দিকে এগিয়ে যাবে। অধিকাংশ মানুষ তা টেরও পাবে না। আনন্দের সঙ্গে তাদের “অধিপতিদের” প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।’

মিউজিংক্যাট নামের এক ব্যবহারকারী দাবি করেন, জিপিটি–৪ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত সবচেয়ে বিপজ্জনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল। তাঁর মতে, এই মডেল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যাঁরা মডেলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করেছেন, তাঁরা এই ঝুঁকি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। ওই পোস্টের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘ভয়ংকর’।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ