রাজবাড়ীতে দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডা, ভিডিও করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা
Published: 10th, February 2025 GMT
রাজবাড়ীতে বালুমহালের দরপত্র নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের আম্রকানন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক ইমরান হোসেন (৪১) মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। হামলায় মাথায় আঘাত পেলে তাঁকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলার কালুখালী উপজেলার চরপাতুরিয়া বালুমহালের দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় পেশাগত কাজে ভিডিও ধারণ করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ থেকে ২০ জনের দল সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর হামলা করে।
সাংবাদিক ইমরান হোসেন বলেন, দরপত্র বাক্সে বিএনপির দুই পক্ষ দরপত্র ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও কিল–ঘুষি মারতে থাকে। এই দৃশ্য তিনি ধারণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্য ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে ইমরানকে কিল-ঘুষি মারা শুরু করেন। ‘ছবি তুললি কেন?’ বলেই এলোপাতাড়ি মারধরে রক্তাক্ত জখম করে পরনের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় কোনো একজন হাতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি–জাতীয় কিছু একটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিমসহ কয়েকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে সহকর্মীদের সহযোগিতায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘কালুখালী উপজেলার গড়াই নদের চরপাতুরিয়া বালুমহাল ইজারা–সংক্রান্ত দরপত্র থাকায় বিএনপির দুই পক্ষের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের আশ্রয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাত, এমন কিছু ছেলে এখন রাজবাড়ী-২ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হকের আশ্রয়ে আছে। সাংবাদিক ইমরান দুটি পক্ষের মধ্যে গ্যাঞ্জামের ছবি তোলায় ওই ছেলেরা মারধর করে। আমাদের রাজবাড়ী শহরের কোনো ছেলেপেলে ছিল না। দূর থেকে দেখে দৌড়ে এসে আমরা সাংবাদিক ইমরানকে রক্ষা করি।’
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিক ইমরান হোসেনকে দেখে এসেছেন। তাঁরা লিখিত অভিযোগের অপেক্ষা করছেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বসহকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব দ ক ইমর ন হ স ন দরপত র
এছাড়াও পড়ুন:
কেনা হচ্ছে ৭২ হাজার ৮৯৭টি এসপিসি পোল
খুলনা বিভাগের বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধণ প্রকল্পের আওতায় পৃথক ৩টি প্রস্তাবে মোট ৭২ হাজার ৮৯৭টি এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ১৯২ টাকা।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব ৩টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর কেডি-জি-৩২, লটঃ-১: এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।সবগুলো প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৬৮ লাখ ১১ হাজার ৮৭৭ টাকা।
সভায় ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের একই প্যাকে নম্বর কেডি-জে-২৩, লট-২- এর আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় ২৪ হাজার ৩০০টি এসপিসি পোল ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। সবগুলি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে চরকা এসপিসি পোলস লিমিটেড, দাদা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড এবং পাশা পোলস লি. এই এসপিসি পোলগুলো সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৬৫ লাখ ১ হাজার ৩৭২ টাকা।
সভায় একই প্রকল্পের লট-৩ এর আওতায় ২৪ হাজার ২৯৭টি এসপিসি পোল ক্রয়ের আরো একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্পের আওতায় ২৪ হাজার ২৯৭টি এসপিসি পোল ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। সবগুলো প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পোলস অ্যান্ড কক্রিট লিমিটেড, কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড, রয়েল গ্রীণ প্রডাক্টস লিমিটেড এবং শেলটেক টেকনোলজি এই এসপি পোলগুলো সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৩ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি