ক্যানসার রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নটাও জরুরি
Published: 10th, February 2025 GMT
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেলথ সার্ভে অবজারভেটরির তথ্যমতে, ২০২২ সালে প্রায় দুই লাখ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল। ধারণা করা হয়, আগামী পাঁচ বছরে এই সংখ্যা বেড়ে তিন লাখেরও বেশি হতে পারে। তবে দেশেই এখন ক্যানসারের প্রায় সব আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতিই চলে এসেছে। আর ক্যানসার রোগীদের মানসিক সহায়তা জরুরি, তাতে স্বজন ও চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করতে হয়।
ক্যানসার বিষয়ে অনলাইনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে। গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ছিল বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ১৯৯৯ সাল থেকে মরণব্যাধি ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা ছড়াতে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও যথাযথভাবে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এসকেএফ অনকোলজির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ শীর্ষক ওই অনলাইন আলোচনা।
আলোচনার এই পর্বটি গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরাসরি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলো, এসকেএফ অনকোলজি ও এসকেএফের ফেসবুক পেজে। এ পর্বের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল বাংলাদেশে ক্যানসারের পরিস্থিতি এবং চিকিৎসার অগ্রগতি। নাসিহা তাহসিনের উপস্থাপনায় এতে অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল অনকোলজিস্টের সহযোগী অধ্যাপক ডা.
বাংলাদেশে পুরুষদের মধ্যে খাদ্যনালি, ফুসফুস ও কলোরেক্টাল ক্যানসারের ব্যাপকতা বেশি। অন্যদিকে স্তন ক্যানসার, সার্ভাইক্যাল ক্যানসার এ খাদ্যনালির ক্যানসারে নারীরা আক্রান্ত বেশি হন। এই তথ্যগুলো জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন উপস্থাপক নাসিহা তাহসিন। কাদের ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বেশি? তাঁর এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আসগর চৌধুরী বলেন, ‘এটি আলাদা করে বলা খুব মুশকিল। ক্যানসার যেকোনো মানুষের হতে পারে। যখন আপনার বয়স বাড়বে, আপনার শরীরে নানা ধরনের মিউটেশনের সুযোগ ঘটবে, ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা আপনার বাড়বে। তবে কিছু লোককে আমরা বলি “হাই রিস্ক পপুলেশন”। কারও পারিবারিক ইতিহাস যদি থাকে, কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করে, কারও খাদ্যাভ্যাসে যদি লাল মাংস, শুঁটকি এসবের প্রাধান্য বেশি থাকে, তাহলে তাদের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই জিনিসগুলোর ভেতরে কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন ওজন বেশি থাকলে আপনি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারবেন কিন্তু পরিবেশদূষণ, পারিবারিক ইতিহাস এসব আমাদের হাতে নেই।’
এ পর্যায়ে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, ক্যানসারের ঝুঁকিগুলো কী কী বা এর শুরুটা আসলে কীভাবে হয়? জবাবে আলী আসগর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি সুশৃঙ্খল একটা জীবন যাপন করি, তাহলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে আসে। একটু আগেই বলেছি, কিছু ঝুঁকি প্রতিরোধযোগ্য, কিছু ঝুঁকি প্রতিরোধযোগ্য নয়।’
ক্যানসারের কিছু সাধারণ লক্ষণের বিষয়ে আলী আসগর চৌধুরী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া, শরীরের কোথাও চাকা বা টিউমার ধরনের কিছু অনুভূত হওয়া ইত্যাদি, এসব লক্ষণ দেখা দেওয়া মানেই যে ক্যানসার, তা নয়। তবে এসব লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যদি দুর্ভাগ্যবশত ক্যানসার হয়ে থাকে, তাহলে শুরুতেই শনাক্ত করে ফেলা যাবে।’
স্ক্রিনিং কী? স্ক্রিনিংয়ের সঙ্গে ডায়াগনসিসের পার্থক্যটা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আসগর চৌধুরী বলেন, ‘ক্যানসারের লক্ষণ দেখা দেয়নি কিন্তু ক্যানসার হওয়ার লক্ষণ শনাক্ত করা গেছে—এটাই হলো স্ক্রিনিং। আবার লক্ষণ দেখা দিয়েছে অথবা “ক্লিনিক্যাল ম্যানিফিয়েস্টেশন” হয়ে গেছে—এই পর্যায়ে যে পরীক্ষাটা করা হয়, সেটাকে ডায়াগনসিস বলা হয়।’
আলী আসগর চৌধুরী আরও বলেন, ‘কারা স্ক্রিনিং করবেন সেই বিষয়ে বলি, মহিলারা বয়স ৫০-এর পর ম্যামোগ্রাফি করবেন। যাঁদের ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস আছে, তাঁরা আরও আগে করবেন। জরায়ুমুখ ক্যানসারের ক্ষেত্রেও তা–ই। বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা রয়েছে।’
ক্যানসার ছোঁয়াচে রোগ কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আসগর আলী চৌধুরী বলেন, ‘গ্রামাঞ্চল থেকে আমার কাছে অনেক মানুষ আসেন, তখন তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন রোগীর খাওয়ার গ্লাস, প্লেট আলাদা করে ফেলব কি না, শোবার ঘর আলাদা হবে কি না ইত্যাদি। ক্যানসার রোগটা ছোঁয়াচে নয়। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করলে এমনকি একসঙ্গে ঘুমালেও এই রোগটা ছড়ায় না। এসব করলে রোগীর মনোবল বরং কমে যায়। এ জন্য আমাদের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।’
প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপক যুক্ত করেন, বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ইউজিএমপি এবং অ্যানভিজা ব্রাজিল অনুমোদিত প্ল্যান্ট হলো “এসকেএফ অনকোলজি”, যা ক্যানসার–চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় পারিবারিক এবং জেনেটিকসের ইতিহাস কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে? এ প্রসঙ্গে আসগর আলী চৌধুরী বলেন, ‘ফ্যামিলি ক্যানসারের ঝুঁকি ১৫ শতাংশের ওপরে সাধারণত থাকে না। পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে, কিন্তু এমন না যে ক্যানসারটা হবেই। অনেক সময় পরিবারে ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে আমরা বাকি সদস্যদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে থাকি। কিন্তু অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এ জন্য বুঝতে হবে পরীক্ষাটা করে আমি দুশ্চিন্তাটা মাথায় নেব কি না।’
ক্যানসার কি নিরাময়যোগ্য রোগ? উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসগর আলী চৌধুরী বলেন, ‘শুরুর দিকে ক্যানসার ধরা পড়লে অনেক ক্ষেত্রেই সেরে যায়। এমন অনেক কেস আমরা পেয়েছি, সুস্থ হয়ে গেছেন, আবার সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এখন প্রযুক্তির অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। এই উন্নতির কারণে এখন স্টেজ ফোর থেকেও ক্যানসার কিউর করে ফেলা সম্ভব।’
এ পর্যায়ে উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, ক্যানসারের ট্রিটমেন্ট শুরু করার আগে কোন বিষয়গুলো আপনারা মাথায় রাখেন?
জবাবে আসগর আলী চৌধুরী বলেন, ‘প্রথমে আমরা দেখি রোগী পুরুষ নাকি মহিলা। বয়সও একটা ব্যাপার। ক্যানসারের স্টেজিংটাও মাথায় রাখতে হয়। আর বিবেচনা করতে হয় লক্ষ্যটা কী? ক্যানসারটা কি আমরা সারিয়ে তুলতে চাই নাকি ক্যানসারটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়? সেটার ওপর আমরা চিকিৎসার প্রক্রিয়া নির্ধারণ করি।’
ক্যানসারের প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি এবং আধুনিক চিকিৎসা প্রসঙ্গে আসগর আলী চৌধুরী বলেন, ‘ক্যানসারের প্রতিটি কেস ইউনিক, কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোন চিকিৎসাপদ্ধতি কাজে লাগবে, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ধারণ করতে হয়। মলিকিউলার প্রোফাইলিং করে আমরা নির্ধারণ করি কার কেমন চিকিৎসা দরকার। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এসব গতানুগতিক চিকিৎসার ভেতর দিয়েই ক্যানসারের চিকিৎসা এখনো হচ্ছে। যাঁরা আর্থিকভাবে সচ্ছল, তাঁরা আরও উন্নত চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।’
বিশ্ব ক্যানসার দিবস, বাংলাদেশে ক্যানসারের বর্তমান অবস্থা ও পরিসংখ্যান এবং রোগ নির্ণয়ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে পরামর্শ দেন ডা. আলী আসগর চৌধুরীউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর য য় পর ক ষ প রথম আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
জেনে নিন, জান্নাতি ২০ সাহাবির নাম
ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের অবদান অতুলনীয়। তাঁরা ছিলেন রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে নিকটতম সঙ্গী, যাঁরা ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ ত্যাগ ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন।
তাঁদের মধ্যে কিছু সাহাবি জীবদ্দশায়ই রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। এই সাহাবিদের মধ্যে ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবির নাম সহিহ হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।
এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সাহাবিকে আল্লাহর রাসুল বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে জান্নাতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আশারায়ে মুবাশশারা: জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি‘আশারায়ে মুবাশশারা’ অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন। এই ১০ জন সাহাবি জীবদ্দশায় রাসুল (সা.) থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন।
একটি হাদিসে সাঈদ ইবনে জায়িদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘১০ জন জান্নাতে যাবে: আবু বকর জান্নাতি, ওমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি, তালহা জান্নাতি, জুবাইর ইবনুল আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, সাঈদ ইবনে জায়িদ জান্নাতি এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ জান্নাতি।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৬৮০)
আরও পড়ুনতিরন্দাজ এক সাহাবী১৩ নভেম্বর ২০২৩এই ১০ সাহাবিকে ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় হলো—
১. আবু বকর আস-সিদ্দিক (রা.): ইসলামের প্রথম খলিফা, রাসুল (সা.)-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ।
২. ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.): দ্বিতীয় খলিফা, যিনি ইসলামি রাষ্ট্রের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৩. উসমান ইবনে আফফান (রা.): তৃতীয় খলিফা, যিনি কোরআনের সংকলন ও প্রমিতকরণে অবদান রাখেন।
৪. আলী ইবনে আবু তালিব (রা.): চতুর্থ খলিফা, রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও জামাতা।
৫. তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা.): প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারী ও বদর যুদ্ধের বীর।
৬. জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.): রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও বীর যোদ্ধা।
৭. আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.): প্রথম আটজন ইসলাম গ্রহণকারীদের একজন, দানশীলতার জন্য বিখ্যাত।
৮. সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.): কাদিসিয়া যুদ্ধের নায়ক এবং প্রথম দিকের মুসলিম।
৯. সাঈদ ইবনে জায়িদ (রা.): প্রথম দিকের মুসলিম ও সাহাবিদের মধ্যে বিশিষ্ট।
১০. আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.): ‘আমিনুল উম্মাহ’ (উম্মাহর বিশ্বস্ত) হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক কুস্তিগিরের গল্প১০ এপ্রিল ২০২৫জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত অন্যান্য সাহাবিআরও কয়েকজন সাহাবি জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন, যদিও তাঁদের নাম একত্রে এক হাদিসে উল্লেখ নেই, তবে বিভিন্ন হাদিসে পৃথকভাবে এসেছে। যেমন
১১. খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রা.): রাসুল (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী। হাদিসে আছে, জিবরাইল (আ.) তাঁকে জান্নাতে মুক্তার প্রাসাদের সুসংবাদ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩,৮২০)
১২. ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (রা.): রাসুল (সা.)-এর কন্যা, যিনি জান্নাতি নারীদের সরদার হবেন। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৭৮১)
১৩. হাসান ইবনে আলী (রা.): রাসুল (সা.)-এর নাতি, জান্নাতের যুবকদের সরদার। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৭৮১)
১৪. হোসাইন ইবনে আলী (রা.): রাসুল (সা.)-এর নাতি, জান্নাতের যুবকদের সরদার। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৭৮১)
১৫. আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.): সাবেক ইহুদি পণ্ডিত, যিনি ইসলাম গ্রহণের পর জান্নাতের সুসংবাদ পান। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮১৬)
১৬. উক্কাশা ইবনে মুহসিন (রা.): বদর যুদ্ধের সাহাবি, যিনি জান্নাতের সুসংবাদ পান। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৪)
১৭. জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.): রাসুল (সা.)-এর পালিত পুত্র, যিনি কোরআনে যার নাম উল্লেখ আছে এবং জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। (সুরা আহজাব, আয়াত: ৩৭)
১৮. আয়েশা বিনতে আবু বকর (রা.): রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী, যিনি জান্নাতি নারীদের অন্যতম। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার আসকালানি, পৃষ্ঠা: ৭/১২৩, দারুল মা’রিফা, ১৯৮৯)
১৯. আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.): প্রথম দিকের মুসলিম, যিনি জান্নাতের সুসংবাদ পান। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮০০)
২০. বেলাল ইবনে রাবাহ (রা.): মুয়াজ্জিন এবং প্রথম দিকের মুসলিম, যিনি জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫৮)
কিছু সূত্রে হজরত হোসাইন ইবনে হারিস (রা.), আউফ ইবনে উসাসা (রা.) বা ইয়াজিদ ইবনে রুকাইশ (রা.)-এর নামও উল্লেখ করা হয়, কিন্তু সহিহ হাদিসে এই নামগুলোর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। (মান বুশশিরা বিল জান্নাহ মিন গাইরিল আশারাহ, পৃষ্ঠা: ৫৫, দারুল উলুম প্রকাশনী, ২০১৫)
আরও পড়ুনসাহসী সাহাবি হজরত যুবাইর (রা.)০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫