প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দীপু মনি দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দুটি করা হয়েছে।

প্রথম মামলায় বলা হয়েছে, চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী ডা.

দীপু মনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া নিজ নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংকের ২৮টি হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।

দ্বিতীয় মামলায় দীপু মনি ও তার স্বামী তৌফিক নেওয়াজকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আওয়ামী লী‌গ সরকা‌রের পত‌নের পর গত বছরের আগস্টে দিপু মনির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়।

এর আগে দীপু মনি, তার স্বামী তৌফিক নাওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন তিনি একা‌ধিক মামলায় কারাগা‌রে আছেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ

২৪ এর জুলাই আন্দোলন পেরিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এবার নতুন পরিবেশে বর্ষবরণ উৎসব বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। তাই এ বছরের উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’।

সকালের আলো ফুটে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশজুড়ে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিয়েছে বাঙালি জাতি। পহেলা বৈশাখ শুধু ক্যালেন্ডারের পাতার একটি সংখ্যা নয়, এটি বাঙালির বিশেষ দিন।

এদিন ক্যালেন্ডারের পাতার সঙ্গে বদলে যায় হৃদয়ের ছন্দ, মানুষের মনে জমে থাকা প্রত্যাশার রং। পহেলা বৈশাখ বাঙালির একমাত্র উৎসব যেখানে থাকে না কোনো ধর্ম, শ্রেণি, বয়সের ভেদাভেদ।

আরো পড়ুন:

৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন

২৩ দিন পর আবারো প্রাণোচ্ছল কুবি

ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ ১৪৩২-কে ঘিরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের রয়েছে নিজস্ব ভাবনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্ন। রাইজিংবিডির কাছে তারা তাদের সেই ভাবনা, প্রত্যাশা ও স্বপ্নগুলো প্রকাশ করেছেন।

এখন স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি

ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে আমরা এ বছর নববর্ষ উদযাপন করছি। ২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ধারণ করে র‍্যালি করেছি। আমাদের ক্যাম্পাসে সর্বশেষ ২০১৯ সালে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছিলো। এখন আমরা স্বাধীনভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে পারছি। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
(লেখক: মোহাম্মদ হান্নান রাহিম, শিক্ষার্থী, ১২তম আবর্তন, গণিত বিভাগ)

সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা

বাংলাদেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। প্রতি বছর যেভাবে নববর্ষ উদযাপন করা হতো, এ বছর তা ভিন্ন। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এ নববর্ষে ভিন্ন আঙ্গিক দেখা যাচ্ছে। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
(লেখক: জুলফা আক্তার, শিক্ষার্থী, ১৪তম আবর্তন, রসায়ন বিভাগ)

মানুষের মাঝে নব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে

ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ সবার মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্যের চেতনা সৃষ্টি করেছে। মানুষের মাঝে যে নব জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, স্বাধীন ও নিজস্ব ভাবধারা প্রকাশ করার তা ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার সম্প্রতির বন্ধনকে অটুট করবে। একইসঙ্গে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জুলাই আন্দোলনে শহীদরা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
(লেখক: বিএম সুমন, শিক্ষার্থী, ১৩তম আবর্তন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ)

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ