জাবির ভর্তি পরীক্ষা: ‘ডি’ ইউনিটে ৮৫ ও আইবিএ-জেইউতে ৭২ শতাংশ উপস্থিতি
Published: 10th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষা চারটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিতির হার ছিল ৮৬.২৭ শতাংশ।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ‘ডি’ ইউনিটের ছাত্রীদের পরীক্ষা মোট পাঁচটি শিফটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৩.
এছাড়া পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউ (ছেলে-মেয়ে উভয়) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন ৭২ শতাংশ ভর্তিচ্ছু।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের প্রথম শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে চতুর্থ শিফটের মাধ্যমে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে (৫ম শিফট) আইবিএ-জেইউ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, “জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে ছাত্রীদের আসন সংখ্যা ১৫৫টি এবং ছাত্রদের আসন সংখ্যা ১৫৫টি। এর মধ্যে গতকালের ছাত্রীদের পরীক্ষায় ৪৭ হাজার ৬৯২টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬৮ জন ভর্তিচ্ছু।”
তিনি বলেন, “সোমবার অনুষ্ঠিত ছাত্রদের পরীক্ষায় ৩৯ হাজার ৭৬ জন পরীক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ হাজার ৭১২ জন। সে হিসেবে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮৩.৮০ শতাংশ এবং ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮৬.২৭ শতাংশ।”
‘ডি’ ইউনিটের ফলাফলের ঘোষণার ব্যাপারে তিনি বলেন, “আজ রাত অথবা মঙ্গলবার সকালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হবে।”
উপস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকালে অনুষ্ঠিত ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮২ শতাংশ, দ্বিতীয় শিফটে ৮২ শতাংশ, তৃতীয় শিফটে ৮৪ শতাংশ, চতুর্থ শিফটে ৮১ শতাংশ এবং পঞ্চম শিফটে ৮২ শতাংশ।
সোমবার অনুষ্ঠিত ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম শিফটে উপস্থিতির হার ছিল ৮৫.২৯ শতাংশ, দ্বিতীয় শিফটে ৮৬.২৭ শতাংশ, তৃতীয় শিফটে ৮৬.৭৩ শতাংশ এবং চতুর্থ শিফটে ৮৬.৭৯ শতাংশ।
আইবিএ-জেইউ ইউনিটের পরীক্ষার বিষয়ে ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) পরিচালক অধ্যাপক আইরীন আক্তার বলেন, “আইবিএ-জেইউ ইউনিটে ৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৬৮৮টি। পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৪৭ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সে হিসেবে উপস্থিতির হার ছিল ৭২ শতাংশ।”
আগামীকাল মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে প্রথম শিফটে ছাত্রী এবং দ্বিতীয় শিফটে ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ‘ই’ ইউনিটে মোট আসন ২০০টি। আবেদন পড়েছে ১৫ হাজার ১৮১টি। আসনপ্রতি লড়বেন ৭৬ জন ভর্তিচ্ছু।
পরের তিনটি শিফটে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু ছাত্রীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ‘এ’ ইউনিটে ৫ শিফটে ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে মোট আসন ৪২৬। আবেদন পড়েছে ৭৩,১৬১টি। আসন প্রতি লড়বেন ১৭২ জন।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও ফলাফল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত র হ র ছ ল উপস থ ত ছ ল ন দ র উপস থ ত ট র পর ক ষ পর ক ষ য় ইউন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে কোটিপতি আমানতকারী বাড়ছে
দৈনন্দিন জীবনের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ। অপরদিকে বাড়ছে পুঁজিপতিদের আয়। তিন মাসে ব্যাংকে বেড়েছে ৪ হাজার ৯৫৪টি কোটিপতি আমাতনকারীর সংখ্যা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে। ওই বছর সেপ্টেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৭ হাজারের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ গত ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
তথ্যমতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীরা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩২টি। ওই সময় পর্যন্ত এসব আমানতকারীদের মোট আমানতের স্থিতি ১৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। ওই বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীরা সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ২৫৫টি। এসব হিসাবে জমা ছিল ১৮ লাখ ২৫ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ব্যাংক খাতের আমানতকারীদের হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ২৭৭টি। এসব হিসাবে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীদের হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২২ হাজারের বেশি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি আমানতকারীদের হিসাব ছিল এক লাখ ১৬ হাজার ৯০৮টিতে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতি আমানতকারীদের হিসাব সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি। ২০২১ সালে ছিল এক লাখ ১৯৭৬টিতে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোটি টাকা আমানতকারীর হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৯০টি। এভাবে বাড়ছে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতিদের হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি।
এক শ্রেণির মানুষের অর্থ বেড়ে যাওয়া দেশে বৈষম্য বাড়ার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক খাতের সংস্কার চলমান রয়েছে। সরকার বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ দেশে ফিরেয়ে আনতে চেষ্টা করছে। অপরদিকে ব্যাংকগুলোতে সুদের হার বেশি থাকায় আমানতকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে আমানত রাখছে। ফলে হিসাবগুলোতে টাকার অঙ্ক বাড়ছে। বাড়ছে কোটিপতি হিসাবধারী আমানতকারীর সংখ্যাও।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ