চিকিৎসা নিতে ব্যাংককে জুলাই আন্দোলনের আরো ৬ জন
Published: 10th, February 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে আহত আরো ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পাঠিয়েছে সরকার। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে তাদের ব্যাংককে রওনা হওয়ার তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
এদিন দুপুরে তিনি বলেন, ‘‘এবার যারা গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। একজন ভর্তি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।’’
পঙ্গু হাসপাতাল থেকে যাওয়া পাঁচজন হলেন দুলাল হোসেন, মোস্তফা কামাল নূর, শহিদুল ইসলাম, হেদায়েতুল্লাহ ও মোহাম্মদ রায়হান। বিএসএমএমইউ থেকে গেছেন মোহাম্মদ রায়হানুল।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘‘থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে তাদের ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।’’
এর আগে, গেল রবিবার দীপঙ্কর বালা নামে একজনকে থাইল্যান্ডে পাঠানো হয়; যিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সেদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়মিত ফ্লাইটে তাকে সেখানে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার গুলিবিদ্ধ রবিউল হোসেন পলাশকে থাইল্যান্ডে পাঠায় সরকার।
গেল ২৯ জানুয়ারি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে তিনজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আরো তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে পাঠায় সরকার।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি উদ্যোগে ২২ জনকে ব্যাংককে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত আন্দোলন আহত ৩৬ জনকে ব্যাংককে পাঠানো হলো।
তবে আহত আরো অনেকেই উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছেন। দাবি নিয়ে একাধিকবার রাস্তায়ও নেমেছেন তারা।
সবশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাখেন আহতরা। পরের দিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা চলে যান প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযুক্ত ধর্ষক স্কুলছাত্র মোহাম্মদ (১৫) রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র রয়েছে। গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে ছোট ভাই-বোনকে রেখে আসতে যায় নির্যাতিত শিশুটি। এ সময় মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একই দিন বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
ভুক্তভোগীর বাবা বাড়িতে না থাকায় পরের দিন সোমবার পরিবারের স্বজনেরা শিশুকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ডা. রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি আশংকামুক্ত। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/অদিত্য/টিপু