‘ডেভিল হান্ট’ নামে গায়েবি মামলা হচ্ছে: জি এম কাদের
Published: 10th, February 2025 GMT
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের নামে ঢালাওভাবে বিরোধী মত দমন চলছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। একই সঙ্গে ডেভিল হান্টে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন জি এম কাদের।
বিবৃতিতে অপারেশন ডেভিল হান্টের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা আমলের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টির ওপর জুলুম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জামিন দেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পার্টির অফিস, নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে।
জি এম কাদের বলেন, ‘ডেভিল হান্ট’ অপারেশনে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। গত রোববার গাজীপুর মহানগরের কয়েকজন নেতার নামে গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। নিরাপরাধ জনগণের ওপর জুলুম ও হয়রানি বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান করছি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র এম ক দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।