গবেষণা প্রণোদনা পেলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষক
Published: 10th, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের মোট ১৩ জন শিক্ষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত ‘গবেষণা প্রণোদনা অনুষ্ঠান-২০২৫’ এর মাধ্যমে এ প্রণোদনা দেওয়া হয়।
প্রণোদনাপ্রাপ্ত ১৩ শিক্ষকের মধ্যে রয়েছেন- রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
এছাড়া প্রণোদনা পেয়েছেন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার, অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, এআইএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাছান এবং আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান।
গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. বেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আপনাদের এ প্রণোদনা মানুষ দেখে দেওয়া হয়নি। আপনাদের কনটেন্টের দিকে তাকিয়েই দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপাতে শিক্ষার্থী অনেক বেশি। আপনারা এত বেশি ক্লাস নিয়েও কিউওয়ান জার্নালে রিসার্চ পাবলিশ করতে পেরেছেন, আপনাদের স্যালুট জানাই। এ প্রণোদনা পেয়ে অন্য শিক্ষকরা উৎসাহিত হবে, এটাই এ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।”
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে পার্থক্য এখানেই। আপনারা জ্ঞান তৈরি করেন। প্রত্যেকটা পাবলিকেশন একটা নতুন সৃষ্টি। এ প্রণোদণা দেওয়ার ধারা প্রতি বছর অব্যাহত থাকবে। আশা করি, আমাদের শিক্ষকরা অনুপ্রাণিত হয়ে সামনে আরও বেশি গবেষণা করবেন।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ গ র সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
অভিযুক্ত ধর্ষক স্কুলছাত্র মোহাম্মদ (১৫) রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র রয়েছে। গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে ছোট ভাই-বোনকে রেখে আসতে যায় নির্যাতিত শিশুটি। এ সময় মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একই দিন বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়।
ভুক্তভোগীর বাবা বাড়িতে না থাকায় পরের দিন সোমবার পরিবারের স্বজনেরা শিশুকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ডা. রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি আশংকামুক্ত। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঢাকা/অদিত্য/টিপু