নারায়ণগঞ্জে ৩ টি নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
Published: 10th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরে খাদ্যপণ্য খালাসের অপেক্ষা থাকা অসংখ্য মাদার ভেসেল। লাইটারেজ জাহাজের সংকটে সেখান থেকে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। এখবরে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদী সহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দরে খাদ্যপণ্য নিয়ে মালামাল খালাস করে নোঙ্গর করে রাখা কার্গো জাহাজ দ্রুত চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার জন্য নদীতে অভিযান পরিচালনা করেন বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেলে পযর্ন্ত নদীতে বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করেন। এসময় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক (বন্দর) মোবারক হোসেন মজুমদার, উপ-পরিচালক (নৌ-নিট্রা) নাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ'র কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানের কৃত্রিম খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যে কারণে নোঙ্গর করা জাহাজ গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে খাদ্যপণ্য নিয়ে অবস্থানরত বিভিন্ন কার্গো জাহাজ পরিদর্শন এবং জাহাজের মাস্টার ড্রাইভার সুকানী, লোড-আনলোডের শ্রমিক ও ইজারাদারদের সঙ্গে কথা বলেন। মাল গুলো দ্রুত খালাস শেষে চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং একটি লাইটারেজ জাহাজকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ৃ
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ খ দ যপণ য
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ছয় দিন পর সিরাজুল ইসলাম (৭০) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এলাকার বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিরাজুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি বয়সজনিত নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৬ এপ্রিল সকালে বাড়ি থেকে হাঁটতে বের হয়ে আর ফেরেননি সিরাজুল। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে শামীম রেজা সোনারগাঁ থানায় একটি ডায়েরি করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল আটটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা কান্দারগাঁও এলাকায় মেঘনা শাখানদীর পাশের বালুর মাঠে ঝোপের ভেতর একটি অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিবারের সহায়তায় মরদেহটি সিরাজুল ইসলামের বলে শনাক্ত করে। বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে—এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’