গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কেন পিছটান দিচ্ছে
Published: 10th, February 2025 GMT
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক হয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিলে যশোর অঞ্চলের যেসব শিক্ষার্থী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তাঁদের আর কষ্ট করে সিলেটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসতে হবে না। আবার সিলেট অঞ্চলের যাঁরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চান, তাঁদেরও কষ্ট করে যশোরে যেতে হবে না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যৌথভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের এটিই ছিল প্রথম উদ্যোগ। কিন্তু সে সময় উদ্যোগটি সফল হয়নি। কারণ, যৌথভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিরুদ্ধে ওই সময় সিলেটে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিল।
আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, এভাবে ভর্তি পরীক্ষা হলে সিলেট অঞ্চলের খুব কমসংখ্যক শিক্ষার্থী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। বাইরের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার বেশি সুযোগ পাবেন। তাতে সিলেটের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অনেকেই সে সময় বুঝে না–বুঝে সিলেটের এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
এর প্রায় আট বছর পর ব্যর্থ সেই উদ্যোগ জাতীয়ভাবে সফলতার মুখ দেখেছিল। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে হয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে, যেটি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত। গত বছর গুচ্ছ পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট ছিল বরাবরই গুচ্ছের বাইরে।
এ ছাড়া যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছের বাইরে চলে গেছে, পরিস্থিতি ভালো হলে ভবিষ্যতে তাদের আবার গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও রয়েছে। একই সঙ্গে গুচ্ছ পরীক্ষা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ছেড়ে না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদারকি সেখানে বাড়াতে হবে।গুচ্ছের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। এর ইতিবাচক দিক নিয়ে বিস্তর লেখালেখিও হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সময়, যাতায়াতের ভোগান্তি লাঘব এবং আর্থিক বিবেচনায় গুচ্ছ পরীক্ষার বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি। এর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর বাইরে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার আগ্রহ দেখায়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বারবার নির্দেশনা ছিল গুচ্ছ থেকে কেউ যেন বের না হয় এবং স্বতন্ত্র পরীক্ষা না নেয়। এরই মধ্যে দৈনিক প্রথম আলো গত ২১ ডিসেম্বর ‘গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তিতে আবারও বাড়বে ভোগান্তি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে গুচ্ছ পদ্ধতির ইতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও মূলত আর্থিকভাবে বিপুল লাভের কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে চায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম বিক্রি বাবদ বিপুল আয়ের বড় অঙ্কই শিক্ষকসহ ভর্তির কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পেয়ে থাকেন।
ওই প্রতিবেদনে বিশেষ যে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে আর্থিক বিষয়ের দিকটি বেশি বিবেচনা করছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য? বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী কারণে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাচ্ছে, সে বিষয় নিয়ে ভালো কোনো প্রতিবেদন কোথাও প্রকাশিত হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ প্রবর্তন হওয়ার ফলে এর কী রকম প্রভাব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছে, সেই বিষয়টি নিয়েও কোনো প্রতিবেদন এর আগে দৃষ্টিগোচর হয়নি। সেই বিষয় এ লেখায় তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তিকে কেন তারা ‘তুচ্ছ’ মনে করছে২২ ঘণ্টা আগেগুচ্ছ পদ্ধতিতে সারা বছর ধরে ভর্তি কার্যক্রম চলে। মাইগ্রেশন বা বিভাগ পরিবর্তনও চলে একই তালে। গত বছরের ভর্তি কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্যে নতুন বছরের ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, ৩ ক্রেডিটের ১টি কোর্সে ১ সেমিস্টারে (বছরে ২টি সেমিস্টার) ৩৬টি ক্লাস হওয়ার কথা। সেমিস্টারের একদম শেষের দিকে কয়েকটি ক্লাস বাকি থাকতে চার থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী একটি বিভাগের ক্লাসে যোগ দিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন থেকে বলা হলো তাঁদের ব্যাপারে নমনীয় হতে হবে। অর্থাৎ ক্লাস ও টার্ম টেস্ট না দিয়েই ওই শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র দিতে হবে।
এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটেছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে দশমবার মাইগ্রেশনের আহ্বান জানিয়েও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো আসন খালি রয়েছে। স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন খালি থাকার ঘটনা একেবারই কম। কোনো কোনো শিক্ষক এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও দিয়েছেন। গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এ ধরনের মতামত পাওয়া গেছে।
গুচ্ছ পরীক্ষা একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় অনেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ রয়েছে, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ‘ইচ্ছাপূর্বক’ অবহেলা করে। দেখা যাচ্ছে, ক্লাসের একটি বেঞ্চে সাত থেকে আটজন গাদাগাদি করে পরীক্ষা দিচ্ছেন। অথচ সেই বেঞ্চে সর্বোচ্চ দুজন স্বাভাবিকভাবে বসে পরীক্ষা দিতে পারেন। দেখাদেখি করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন।
কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বেশি সুযোগ দেওয়ার জন্য দেখাদেখি করে পরীক্ষা দেওয়া কিংবা নকলের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। ফলে তুলনামূলক কম মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন এবং আঞ্চলিক শিক্ষার্থীরা বেশি ভর্তি হচ্ছেন। অনেক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, গুচ্ছের আগে যে ধরনের শিক্ষার্থী পাওয়া যেত, এখন কম মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়।
গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার দাবিতে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, গুচ্ছতে দুর্ভোগ বেশি। এখানে ভর্তির খরচও অনেক বেশি। গুচ্ছবহির্ভূত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে ভর্তির দ্বিগুণের বেশি টাকা খরচ হয় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য। এ ছাড়া গুচ্ছতে বিভাগ পছন্দের মারপ্যাঁচে অনেক শিক্ষার্থী নিজের পছন্দমতো বিভাগ পান না—এটি নিয়েও শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে একধরনের হতাশা।
ভর্তির কার্যক্রমে অংশ নিয়ে পরিশ্রমের তুলনায় খুব বেশি পরিমাণ সম্মানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পান না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে শিক্ষক–কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক লোকবলের প্রয়োজন হয়। টাকার চেয়ে দায়িত্ব পালনই এখানে শিক্ষকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষকেরা বেশি সম্মানী পান এবং গুচ্ছতে ভর্তি পরীক্ষায় কম সম্মানী পান—বিষয়টি মোটেই সে রকম নয়।
উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করলে উপলব্ধি করা যায়, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি সারা বছর ছাত্র ভর্তি কার্যক্রম চলে, তাহলে সেখানকার অবস্থা কেমন হতে পারে? ৫০ জনের ভর্তির জন্য যে জনবল প্রয়োজন, ৫০০ জনের ভর্তির জন্যও একই জনবলের প্রয়োজন হয়। অর্থাৎ সারা বছরই নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের ভর্তি পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়। মোটাদাগে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একাডেমিক শৃঙ্খলার ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পড়াশোনার মানও সেখানে অনেকাংশে নিম্নগামী। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করেই একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ছাত্র ভর্তির উদ্যোগ নিয়েছে।
অন্যদিকে বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছভুক্ত না হওয়ায় গুচ্ছ ভর্তি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া গুচ্ছ পরীক্ষা আয়োজনের হিসাবনিকাশও অস্বচ্ছ বলে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়গুলো তদন্তের দাবি রাখে। এরপরও ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পরীক্ষা নিতে রাজি হয়েছে, এটি একটি ইতিবাচক দিক। উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে, বিশেষ করে সারা বছর ভর্তি কার্যক্রম চালু না রেখে, নির্দিষ্ট কয়েক মাস ছাত্র ভর্তি করে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে এ বিষয়ের সমাধান কিছুটা হতে পারে।
এ ছাড়া যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছের বাইরে চলে গেছে, পরিস্থিতি ভালো হলে ভবিষ্যতে তাদের আবার গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও রয়েছে। একই সঙ্গে গুচ্ছ পরীক্ষা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে ছেড়ে না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদারকি সেখানে বাড়াতে হবে।
এতে হয়তো গুচ্ছ পরীক্ষার ভাবমূর্তি–সংকট কিছুটা কাটানো সম্ভব। গুচ্ছ পরীক্ষা আরও কার্যকর হোক, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব হোক—সে প্রত্যাশা সবার।
● ড.
মো. সাহাবুল হক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ চ ছ পর ক ষ স বতন ত র পর ক ষ র পর ক ষ য় ব ষয়গ ল ব র হয় হওয় র প রথম ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে
সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।
বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার