ঢাকাসহ সারা দেশে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪৩ জনকে। এ ছাড়া অন্যান্য অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরো ১ হাজার ৫২১ জনকে। এর আগে, রবিবার ‘ডেভিল হান্টের’ মধ্যে ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানায়, অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪৩ জনকে। এ ছাড়া এই বিশেষ অপারেশনসহ অন্যান্য অভিযানে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শর্টগান কার্তুজ, তিনটি ছুরি, তিনটি তলোয়ার, একটি কুড়াল, ১০টি ককটেল, ৮টি লাঠি, ৪টি রড এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়। 

দেশ ‘অস্থিতিশীলকারীদের’ ধরতে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনার পর ‘অপারেশনের’ চালানোর ঘোষণা দেয় সরকার।

আরো পড়ুন:

যশোরে রাতভর ‘ডেভিল হান্ট’, আ.

লীগের ৯ নেতাকর্মী ধরা

মাকে গাছে বেঁধে ঘরে আগুন, ছেলে গ্রেপ্তার

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান শুরু হয়েছে। আর যতক্ষণ না ‘ডেভিল’ শেষ হচ্ছে, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ততক্ষণ চলবে।”

ঢাকা/এমআর/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

চারুকলায় দুটি মোটিফে আগুন রহস্যজনক নয়, পরিকল্পিত: ঢা‌বি সাদা দল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দল। অবিলম্বে অগ্নিকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দা‌বি জানানো হয়। আজ ভোরে দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে যায়। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি মোটিফটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। আর শান্তির পায়রা মোটিফটি আংশিক পুড়ে গেছে।

বিবৃতিতে নেতারা ব‌লেন, চারুকলা অনুষদের চার দেয়ালের ভেতরে তৈরি করা এসব প্রতিকৃতিতে আগুন দেওয়া নিছক কোনো রহস্যজনক নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। এ ঘটনায় ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের দোসর কিংবা ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের হাত থাকার সম্ভাবনা বেশি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাদা দলের নেতারা। তাঁরা বলেন, পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা পালনের লক্ষ্যে তৈরিকৃত প্রতিকৃতিসহ অন্যান্য জিনিসের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর চারুকলার শোভাযাত্রা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকা অত্যাবশ্যক ছিল।

ঢাবি সাদা দলের নেতারা অবিলম্বে চারুকলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফ পুড়ে যাওয়ায় চারুকলা অনুষদ যা জানাল৫ ঘণ্টা আগে

চারুকলা অনুষদ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ মোটিফটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, অনেকগুলো মোটিফের মধ্যে দুটি মোটিফ পুড়ে যাওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক। পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত করছে।

আরও পড়ুনচারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ৬ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনশুধু দুটি মোটিফে আগুন লাগা রহস্যজনক বলছে ফায়ার সার্ভিস, তদন্তে পুলিশ৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ