সুগার ফ্রি ও নো অ্যাডেড সুগারের মধ্যে পার্থক্য কী, কোনটি ভালো
Published: 10th, February 2025 GMT
‘সুগার ফ্রি’ মানে কী
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং অনুসারে, সুগার ফ্রি মানে ওই প্যাকেটে যে পণ্য আছে, সেখানে চিনির পরিমাণ দশমিক ৫ গ্রাম বা আধা গ্রামের চেয়ে কম। অর্থাৎ চিনি ব্যবহার করা হয়নি বললেই চলে। তবে অল্প পরিমাণে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার, যেমন অ্যাসপার্টেম বা স্টেভিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু পণ্যে প্রাকৃতিকভাবেই চিনি থাকতে পারে। ফলে আপনি যখন সুগার ফ্রি কিছু খাবেন, তখন আপনাকে চিনির বাড়তি ক্যালরি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
আরও পড়ুনএই ২ অভ্যাসেই বাড়তি চিনি খাওয়া কমবে ৮০ শতাংশ২৮ নভেম্বর ২০২৪‘নো অ্যাডেড সুগার’ মানে কীযুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অনুসারে, কোনো পণ্যের গায়ে যখন লেখা থাকে ‘নো অ্যাডেড সুগার’, তখন এর মানে পণ্যটি তৈরি, প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেজিং করার সময় কোনো বাড়তি চিনি ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি কোনো আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও ব্যবহার করা হয়নি। তবে সেখানে প্রাকৃতিকভাবে চিনি থাকতে পারে। মনে করুন, একটা পিনাট বারের প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘নো অ্যাডেড সুগার’। এর মানে কোনো বাড়তি চিনি ব্যবহার করা হয়নি বটে। তবে বাদাম বা কিশমিশের নিজস্ব ‘চিনি’র কারণে জিনিসটা খেতে মিষ্টি লাগতে পারে।
আরও পড়ুনকৃত্রিম চিনি কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?১৩ ডিসেম্বর ২০২৪কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকরআপনি যদি ডায়েটে থাকেন, তাহলেও সুগার ফ্রি বা নো অ্যাডেড সুগার—দুটিই খেতে পারবেন। তবে সুগার ফ্রি খাবার মাঝেমধ্যে খাওয়া ভালো। আপনি যদি নিয়মিত সুগার ফ্রি খাবার খান, তাহলে আপনার চিনির চাহিদা তৈরি হবে। ফলে তৈরি হবে বাড়তি চিনি খাওয়ার প্রবণতা। সেটা আপনার চিনিমুক্ত জীবনযাপনের ‘সাধনায়’ ব্যাঘাত ঘটাবে।
এ কারণেই একাধিক গবেষণা জানিয়েছে, সুগার ফ্রি আর নো অ্যাডেড সুগারের মধ্যে যদি আপনাকে কেবল একটা বেছে নিতে বলা হয়, তাহলে নো অ্যাডেড সুগার বেছে নেওয়াই হবে জ্ঞানীর কাজ। অর্থাৎ এই দুইয়ের মধ্যে নো অ্যাডেড সুগারই তুলনামূলকভাবে ভালো বিকল্প।
সূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুনচিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ১০টি উপকারিতা২০ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সার্টিফিকেশন বোর্ড কী করছে
সাড়ে চার মাসে সাড়ে তিন শর বেশি সিনেমাকে সার্টিফিকেশন সনদ দিয়েছে বোর্ড। এর মধ্যে ‘ভয়াল’, ‘বলী’, ‘দরদ’, ‘চাঁদের অমাবস্যা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘প্রিয় মালতী’র মতো সিনেমা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র ও মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাওয়া হলিউডের চলচ্চিত্র।
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩’-এর ৩-এর উপধারা (১) অনুসারে গঠিত হয়েছে এই বোর্ড।
বোর্ডের প্রধান কাজ ছবির রেটিং দেওয়া। কোন ছবি কোন বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী, নির্ধারণ করে বোর্ড। আর এই রেটিং প্রদানের জন্য জরুরি বিধিমালা। কিন্তু বিধিমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি, প্রস্তাব আকারে রয়েছে। কেউ কেউ তাই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিমালা ছাড়াই সাড়ে চার মাস ধরে সার্টিফিকেশন বোর্ড কীভাবে কাজ করছে?
২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার