যুক্তরাষ্ট্রের ধাতব মুদ্রা পেনি উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প
Published: 10th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ধাতব মুদ্রা পেনি উৎপাদন বন্ধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনি উৎপাদিত হচ্ছে। বাস্তব হলো, প্রতিটি পেনি উৎপাদনে আমাদের ২ সেন্টের বেশি খরচ হচ্ছে। এটা বড় অপচয়! আমি অর্থমন্ত্রীকে নতুন পেনি উৎপাদন বন্ধ করতে বলেছি। চলুন, আমাদের মহান দেশের বাজেটের অপচয় বন্ধ করি।’
এর আগে গত জানুয়ারিতে পেনি উৎপাদনের খরচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছিল মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই)। সরকারি খরচ কমানোর লক্ষ্যে ক্ষমতায় বসার পর নির্বাহী আদেশে এ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন ট্রাম্প। ডিওজিইর প্রধান করা হয়েছে ধনকুবের ও ট্রাম্পঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ককে।
যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ১ ডলারের শতভাগের এক ভাগ হলো এক পেনি। একে এক সেন্টও বলা হয়। দেশটিতে পেনি উৎপাদনের খরচ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও পেনি উৎপাদন বন্ধে দেশটির কংগ্রেসে একাধিক বিল উত্থাপন করা হয়েছে। তবে কোনোটিই পাস হয়নি।
এর আগে ২০১২ সালে পেনি উৎপাদন বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডা। তখন এক পেনি উৎপাদন করতে ১ দশমিক ৬ সেন্ট খরচ হয় বলে জানিয়েছিল দেশটির সরকার। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির মুখে পেনির ক্রয়ক্ষমতায় সে সময় কমে গিয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে পেনি উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে ধাতব মুদ্রা পেনির উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রোববার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাম্প।
ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পেনি উৎপাদন করা হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, প্রতিটি পেনি তৈরিতে ২ সেন্টের বেশি খরচ হচ্ছে। এটা বড় অপচয়! আমি অর্থমন্ত্রীকে নতুন পেনি উৎপাদন বন্ধ করতে বলেছি। চলুন, আমাদের মহান দেশের বাজেটের অপচয় বন্ধ করি।” খবর-এএফপি
ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ‘মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগ’ (DOGE) প্রতিষ্ঠা করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে DOGE পেনি উৎপাদনের উচ্চ খরচ নিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগের প্রধান হিসেবে ধনকুবের ইলন মাস্ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে পেনি উৎপাদন বন্ধের দাবি নতুন নয়। এর আগে কংগ্রেসে একাধিকবার এ বিষয়ে বিল উত্থাপন করা হলেও কোনোটিই পাস হয়নি। উচ্চ উৎপাদন খরচ এবং মূল্যস্ফীতির কারণে ২০১২ সালে কানাডা পেনি উৎপাদন বন্ধ করে। সে সময় কানাডায় এক পেনি উৎপাদনে ১.৬ সেন্ট খরচ হতো, যা অর্থনৈতিকভাবে অযৌক্তিক বলে বিবেচিত হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রেও পেনির ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, ফলে এটি অব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত দেশটির অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।