যুক্তরাষ্ট্রের ধাতব মুদ্রা পেনি উৎপাদন বন্ধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয় কমাতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনি উৎপাদিত হচ্ছে। বাস্তব হলো, প্রতিটি পেনি উৎপাদনে আমাদের ২ সেন্টের বেশি খরচ হচ্ছে। এটা বড় অপচয়! আমি অর্থমন্ত্রীকে নতুন পেনি উৎপাদন বন্ধ করতে বলেছি। চলুন, আমাদের মহান দেশের বাজেটের অপচয় বন্ধ করি।’

এর আগে গত জানুয়ারিতে পেনি উৎপাদনের খরচ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছিল মার্কিন সরকারের দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই)। সরকারি খরচ কমানোর লক্ষ্যে ক্ষমতায় বসার পর নির্বাহী আদেশে এ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন ট্রাম্প। ডিওজিইর প্রধান করা হয়েছে ধনকুবের ও ট্রাম্পঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ককে।

যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ১ ডলারের শতভাগের এক ভাগ হলো এক পেনি। একে এক সেন্টও বলা হয়। দেশটিতে পেনি উৎপাদনের খরচ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও পেনি উৎপাদন বন্ধে দেশটির কংগ্রেসে একাধিক বিল উত্থাপন করা হয়েছে। তবে কোনোটিই পাস হয়নি।

এর আগে ২০১২ সালে পেনি উৎপাদন বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডা। তখন এক পেনি উৎপাদন করতে ১ দশমিক ৬ সেন্ট খরচ হয় বলে জানিয়েছিল দেশটির সরকার। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতির মুখে পেনির ক্রয়ক্ষমতায় সে সময় কমে গিয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উৎপ দ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

যেসব কারণে আপনি কাপড়ের আলমারি গুছিয়ে রাখতে পারেন না

ক্যাটাগরি না করা

ধরা যাক, অনলাইনে অর্ডার করে সুন্দর একটা টপস কিনেছেন। ট্রায়াল দিয়ে দেখলেন, বেশ মানিয়েছে। এরপর কী করবেন? ভাঁজ করে আলমারিতে সাজিয়ে রাখবেন। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দুই দিন পর যখন টপস খুঁজে বেড়াচ্ছেন, সারা আলমারি তন্ন তন্ন করেও সেটা আর পাচ্ছেন না। কেন? কারণ, টপসটা রেখেছিলেন শাড়ির সঙ্গে। শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে কোথায় হারিয়ে লুকিয়ে আছে, জানা নেই। আলমারিতে জামাকাপড় সারিবদ্ধ করে না রাখলে এমন বিপত্তি বেশ স্বাভাবিক। আলমারির হাজারো জামাকাপড়ের ভিড়ে কাঙ্ক্ষিত জামাটি হারিয়ে যেতে পারে সহজেই। তাই আলমারিতে ক্যাটাগরি করে জামাকাপড় সাজিয়ে রাখুন। এতে খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত জামাকাপড়

পছন্দ হলেই এটা–সেটা কেনার অভ্যাস কিংবা বদভ্যাস আছে অনেকের। অগোছালো আলমারির এটাও একটা কারণ। এভাবে দেদার কেনাকাটার ফলে একটার পর একটা জামাকাপড় জমতে থাকে আলমারিতে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জামাকাপড় পড়ে যায় নিচে বা পেছনে। ফলে প্রয়োজনের সময় খুঁজে পাওয়া আরও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ফলে যে জামাকাপড়গুলো পুরোনো হয়ে গেছে কিংবা নষ্ট, তা আলমারি থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও রাখুন। এতে অতিরিক্ত জামাকাপড় আলমারি থেকে দূর হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনপুরোনো কাপড় ভালো রাখবেন যেভাবে০১ জুলাই ২০২৪আলমারিতে যথেষ্ট জায়গা না থাকা

বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষই রেডিমেড আলমারি কেনেন। দামে কম, মানেও ভালো—সব মিলিয়ে মানুষের পছন্দের তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছে এ ধরনের আলমারি। এতে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হলেও দেখা যায় জায়গার স্বল্পতা। আলমারিগুলো বানানো হয় নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রয়োজন মাথায় রেখে। সবার আলমারিতে তো আর সবকিছুর প্রয়োজন নেই। ফলে দেখা যায়, রেডিমেড আলমারি কেনা হলেও তার বেশির ভাগ জায়গাই অপচয় হয় সঠিক ব্যবহারের অভাবে।

ভার্টিক্যাল স্পেস ব্যবহার না করা

বেশির ভাগ সময় রেডিমেড আলমারিগুলোর ভার্টিক্যাল স্পেস বা লম্বালম্বি জায়গা ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। ফলে আলমারি বিশাল হলেও সঠিক ব্যবহারের অভাবে আলমারি হয়ে থাকে অগোছালো।

আরও পড়ুনওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার আগে যেসব বিষয় জানা জরুরি১৮ মার্চ ২০২৫ভাঁজ করা ও ঝুলিয়ে রাখার মধ্যে পার্থক্য করতে না পারা

সব জামাকাপড়ই যে ভাঁজ করে রাখলে ভালো থাকবে, তেমনটা নয়; বরং কিছু কিছু জামাকাপড় ভাঁজ না করে ঝুলিয়ে রাখলেও ভালো থাকে এবং আলমারির জায়গা অনেকটা বেঁচে যায়। শার্ট ও পাঞ্জাবিজাতীয় জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেকে। এতে আলমারির জায়গার অপচয় হয়। ঝুলিয়ে রাখলে বরং তা কাপড়ের জন্য যেমন ভালো, জায়গারও অপচয় হয় না।

শুকানো কাপড় ঠিক করে না রাখা

কাজের ব্যস্ততায় বা সময়ের অভাবে অনেকেই শুকানো কাপড় স্তূপ করে সরাসরি আলমারিতে রেখে দেন। যাতে ধোয়া কাপড়গুলো একত্রে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু এতে আরও বিপত্তি বাড়তে পারে। বিভিন্ন ধরনের কাপড় একসঙ্গে থাকলে তা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেক গুণ।

তথ্যসূত্র: রিয়েল সিম্পল

আরও পড়ুনধোয়া কাপড় থেকেও দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে? জেনে রাখুন সমাধান০২ অক্টোবর ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অর্থের অপচয় করে তিস্তায় আর অকার্যকর প্রকল্প নয়
  • যেসব কারণে আপনি কাপড়ের আলমারি গুছিয়ে রাখতে পারেন না