দেবিদ্বারে গোমতী নদী থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
Published: 10th, February 2025 GMT
কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদী থেকে আছমত আলী (৮৫) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দেবিদ্বার পৌরসভার শিবনগর ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আছমত আলী উপজেলার গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকতলা নয়াবাড়ির মৃত হামিদ আলীর ছেলে। তিনি এক সপ্তাহ আগে দেবিদ্বার পৌর এলাকার বালিবাড়ি গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সোমবার ফজরের সময় তিনি নিখোঁজ হন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে শিবনগর ব্রিজের নিচে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিহতের ছেলে ও স্বজনরা থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।
নিহতের ছেলে হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমার বাবা এক সপ্তাহ আগে আমার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সোমবার ফজরের সময় তিনি নিখোঁজ হন। পরে জানতে পারি, প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গোমতী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার বোনের বাড়ি নদীর কাছেই। হয়তো ওজু করতে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পড়ে গেছেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, গোমতী নদীর শিবনগর ব্রিজের নিচে মরদেহ ভাসতে থাকার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।
প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।