ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) অভিষেক হয় দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ তুর্কি ম্যাথিউ ব্রিটজকের। লাহোরে অভিষেক ম্যাচেই ১৫০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন তিনি। তাতেই গড়েন ইতিহাস, হয় বিশ্বরেকর্ড। তার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো ব্যাটসম্যান অভিষেক ম্যাচে ১৫০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি।

তার ৪৭ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্স অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন ১৪৮ রান। সেটাই ছিল এতোদিন অভিষেকে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের মধ্যে কলিন ইনগ্রাম ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে করেছিলেন ১২৪ রান। সেটা ছিল প্রোটিয়া কোনো ক্রিকেটারের অভিষেকে সর্বোচ্চ রান। আজ সবাইকে পেছনে ফেলে ব্রিটজকে করলেন ১৫০, গড়লেন ইতিহাস। তার েইনিংসে ১১টি চারের পাশাপাশি ৫টি ছক্কার মারও ছিল।

আরো পড়ুন:

পাওয়ার প্লে’তে ৯৫ রান তুলে ভারতের রেকর্ড

আমি ন্যাচারালি এভাবেই খেলি- ২৯ ছক্কার রহস্য নিয়ে তানজিদ

তার ১৫০ রানের ইনিংসে ভর করে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিটজকের বাইরে উইয়ান মুল্ডার করেন ৬৪ রান। এছাড়া জ্যাসন স্মিথ ৪১ ও টেম্বা বাভুমা করেন ২০ রান।

ইনিংস শেষে ব্রিটজকে বলেছেন, ‘‘আমি আসলে রেকর্ড সম্পর্কে এখনও জানি না। আমি কিছুটা ক্লান্ত ছিলাম। পিচ কিছুটা স্লো ছিল এবং নিউ জিল্যান্ডের উইলিয়াম ও’রুরকেকে মোকাবিলা করা বেশ কঠিন ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল যতোক্ষণ সম্ভব ব্যাট করে যাওয়া এবং শেষ দিকে গিয়ে সুযোগ নেওয়া।’’

এদিন ব্রিটজকে ৪৬ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। এর আগে ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০টি টি-টোয়েন্টি ও একটি মাত্র টেস্ট খেলেছিলেন। আজ ওয়ানডে অভিষেকে নিজেকে দারুণভাবে জানান দিলেন বিশ্বমঞ্চে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর নিরাপত্তায় ঢাকার গণপরিবহনে ‘হেল্প’ অ্যাপ

গণপরিবহনে মাঝেমধ্যেই নারীদের হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে ঢাকায় গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চালু হলো নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ‘হেল্প’। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার ভবনের সেমিনার হলে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, নারী ও শিশুর ওপর যে কোনো ধরনের সহিংসতা পীড়াদায়ক। অনেক ক্ষেত্রেই এসব ঘটনার শিকার নারীরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করতে দ্বিধাবোধ করেন। তাছাড়া তাদের অভিভাবকরাও নানা কারণে ঘটনাগুলো গোপন রাখেন। হেল্প অ্যাপে দাখিল করা তথ্য এখন থেকে ওই ঘটনার প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হবে। 
গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করে ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ শব্দ ব্যবহার অনুরোধ জানান কমিশনার। তিনি বলেন, গৃহকর্মীরা আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত। অনেক সময় তারাও শ্লীলতাহানির শিকার হয়। সুনাগরিক হিসেবে গৃহকর্মীদের থাকার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার আয়োজিত অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘হেল্প’ একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প যার মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে কোনো নারী সহিংসতার শিকার হলে তাৎক্ষণিক সহায়তা চাইতে পারবেন, জরুরি সেবা নিতে পারবেন এবং ঘটনাটি রিপোর্ট করতে পারবেন। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের উদ্যোগে পাইলট প্রকল্প হিসেবে রাজধানীর বছিলা থেকে সায়েদাবাদ সড়কে প্রাথমিকভাবে এটা বাস্তবায়ন করা হবে। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলা বাসে কিউআর কোড স্থাপন ও এই অঞ্চলে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় সহিংসতার শিকার নারীরা এ সেবা নিতে পারবেন।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ