তিন রাতের তিন ফাইনাল—কার পকেটে কত টাকা
Published: 10th, February 2025 GMT
২০২৫ সালের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে একসঙ্গে চলেছে পাঁচ–পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি–টোয়েন্টি লিগ—বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০, নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ (আইএলটি২০)। গত রাতে দুবাই ক্যাপিটালসের আইএলটি২০ শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে আপাতত শেষ হয়েছে টি–টোয়েন্টি উৎসব।
বিগ ব্যাশ গত জানুয়ারিতে শেষ হলেও অন্য চারটির ফাইনাল হয়েছে এ মাসেই। সুপার স্ম্যাশ শেষ হয়েছে ২ ফেব্রুয়ারি। অন্য তিনটির ফাইনাল হয়েছে টানা তিন দিনে—৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে বিপিএল ফাইনাল খেলেছে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস; ৮ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গে এসটি২০–এর ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে এমআই কেপটাউন ও সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ আর গতকাল ৯ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে আইএলটি২০–এর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দুবাই ক্যাপিটালসের প্রতিপক্ষ ছিল ডেজার্ট ভাইপার্স।
এ মাসে শেষ হওয়া চার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আয়োজক বোর্ডগুলোর মধ্যে বিসিবিই সবচেয়ে ধনী। অথচ অর্থ পুরস্কারের (প্রাইজমানি) দিক থেকে বিপিএল সবচেয়ে পিছিয়ে!
গত বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ বিপিএল ফাইনালের আগের দিন এবারের আসরের অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে বিসিবি। আগেরবারের চেয়ে অর্থ পুরস্কার ২ কোটি ৩ লাখ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৫ কোটি ৩১ লাখ। তবু তা সুপার স্ম্যাশের তুলনায় নগণ্য। আইএলটি২০ ও এসএ২০–এর তো ধারেকাছেও নেই। এমনকি বিপিএল চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও এই লিগগুলোর চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়ে কম টাকা পেয়েছে।
সুপার স্ম্যাশে এবার মোট অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ১২ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। চ্যাম্পিয়ন সেন্ট্রাল স্ট্যাগস পেয়েছে ৪ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার, টাকার অঙ্কে যা ২ কোটি ৭৭ লাখ।
আরও পড়ুনফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আম্বানি পরিবার: যেখানেই হাত, সেখানেই সোনা০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ফরচুন বরিশাল অবশ্য এটা ভেবে সান্ত্বনা খুঁজে নিতে পারে যে তারা অন্তত সেন্ট্রাল স্ট্যাগসের কাছাকাছি অর্থ পুরস্কার পেয়েছে—২ কোটি ৫০ লাখ। কিন্তু টাকার এই পরিমাণ আইএলটি২০ চ্যাম্পিয়ন দুবাই ক্যাপিটালস ও এসএ২০ চ্যাম্পিয়ন এমআই কেপটাউনের চেয়ে কয়েক গুণ কম।
এসএ২০–তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এমআই কেপটাউন ২২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পেয়েছে এমআই কেপটাউন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১১৭ বার
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবারও আদালতে জমা পড়েনি। এ নিয়ে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৭ বার পেছানো হলো।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
আগামী ২১ মে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম।
এক যুগ পর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলার আগের তদন্ত সংস্থা র্যাবের কাছ থেকে মামলার নথিপত্র বুঝে নিয়েছে পিবিআই। সংস্থাটি এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘র্যাবের কাছ থেকে মামলাসংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র বুঝে পেয়েছি। তদন্তকাজ নতুন করে শুরু করেছি।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছে র্যাব।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লিখিতভাবে র্যাব আদালতকে জানিয়েছিল, সাগর-রুনির বাসা থেকে জব্দ করা আলামতের ডিএনএ পর্যালোচনায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই পুরুষের উপস্থিতি মিলেছে। অজ্ঞাতপরিচয় দুই পুরুষকে শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতির চেষ্টা চলছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র্যাব। তবে অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল আসেনি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে দুজন জামিনে, বাকি ছয়জন কারাগারে।
৩০ সেপ্টেম্বর সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।