চূড়ান্ত হিসাবে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৪.২২ শতাংশ
Published: 10th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
চূড়ান্ত হিসাবে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেশ খানিকটা কমেছে। সাময়িক হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। চূড়ান্ত হিসাবে তা ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ২২ শতাংশে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএস জানায়, দেশের জনসংখ্যা, কৃষি, শিল্প, জনমিতি, অর্থনীতি, আর্থসামাজিক বিষয়াদি, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, ইত্যাদি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে বিবিএস। তন্মধ্যে স্কুল দেশের মোট দেশজ উৎপাদনসহ (জিডিপি) গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নির্দেশক প্রাক্কলন অন্যতম। সাময়িকভাবে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রাক্কলন ও প্রকাশ করা হয়েছিল। এ পর্যায়ে চূড়ান্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী সাময়িক হিসাবের তুলনায় চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমেছে। নানা কারণে শিল্পের উৎপাদন প্রবৃদ্ধিও কমেছে।
এএ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা হবে আজ সোমবার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে দুপুর ৩টায় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। জানা গেছে, নতুন মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার বাড়ানোর আলোচনা থাকলেও আপাতত তা অপরিবর্তিত থাকছে। বিনিময় হার ব্যবস্থায়ও বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সরকার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে। আগের মাস শেষে যা ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল। যে কারণে আপাতত নীতি সুদহার আর বাড়ছে না। তবে শিগগির তা কমানোও হবে না। আবার গত ডিসেম্বর মাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ভারসাম্যে বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে।
চলতি হিসাব ও আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে স্থিতিশীল আছে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর নীতির কারণে ডলারের দরও ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় স্থিতিশীল আছে। এসব কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আপতত বড় কোনো পরিবর্তনে দিকে যাবে না। মূল্যস্ফীতি আরও কমতে শুরু করলে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ধীরে ধীরে নীতি সুদহার কমিয়ে আনা হবে। এর আগ পর্যন্ত তা অপরিবর্তিত থাকবে।