স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নতুন চেয়ারম্যান ফারাহনাজ ফিরোজ
Published: 10th, February 2025 GMT
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ফারাহনাজ ফিরোজ। চেয়ারম্যান মিসেস ফাতিনাজ ফিরোজের অকালমৃত্যুর পর বিওটির এক বিশেষ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফারাহনাজ ফিরোজ ২০১১ সাল থেকে বোর্ডের সদস্য।
ফারাহনাজ ফিরোজ যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি কিংস্টন ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে বায়োমেডিকেল সায়েন্সে অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতকোত্তর এবং জাপানের নারার কিন্দাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেছেন ফারাহনাজ ফিরোজ। তাঁর অসংখ্য প্রকাশনা রয়েছে। এ ছাড়া মাইক্রোবায়োলজির ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজির একজন আজীবন সদস্য। ফারাহনাজ ফিরোজ ২০১৬ সাল থেকে স্টামফোর্ড ফুডস অ্যান্ড অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পয়লা বৈশাখে থাকছে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব। এমনকি নববর্ষ উপলক্ষে কেউ যেন অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য সাইবার ওয়ার্ল্ডেও মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২ হাজার ৪৪৯ জন র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ”
“বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, শিশু একাডেমি এবং রমনা বটমূলসহ ঢাকার যেসকল স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সে সকল স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেকপোস্ট, টহল ও অবজারভেশন পোস্ট স্থাপনসহ বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।”
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। দেশব্যাপী নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, চেকপোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিং। এছাড়া, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ থাকবে।”
গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।”
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে আগত নারীদের উত্যক্ত, ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি রোধকল্পে মোবাইলকোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার স্বীকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাব সদস্যদেরকে জানাবেন। আমরা কঠোর হস্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”
ঢাকা/এমআর/ইভা