পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের পর শাহবাগে রাস্তা থেকে সরে গেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে যান। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে, দুপুরে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে তারা। এ সময় শাহবাগ মোড়ে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশের লাঠিচার্জ উপেক্ষা করেই সড়কে বারবার অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকে ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

ঝালকাঠিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ জলকামান থেকে কিছু সময় পর পর আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পানি ছুড়ে। ফোটানো হয় বেশকিছু সাউন্ড গ্রেনেড। এ সময় ব্যাপক লাঠিচার্জও করা হয়। আটক করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে নারীদের রেখে রাস্তা ছেড়ে দেন পুরুষরা। আটক এড়াতে তারা আশেপাশে অবস্থান নিয়ে নারীদের উৎসাহ দেন।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কথা বলবেন পুতিন-ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে পুরোপুরি সম্মত নন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তাই শিগগিরই দুই পরাশক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলাপচারিতা শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে মস্কো গিয়েছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিফ উইটকফ। পুতিনের সঙ্গে উইটকফের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর পুতিন কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এর আগে তিনি বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ইউক্রেনের জন্য ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি ‘ভালো হবে’ এবং ‘আমরা এর পক্ষে।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে কিছু ‘সূক্ষ্মতা’ আছে।

শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে উইটকফের বৈঠক প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বৈঠকে ‘রাশিয়াকে অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হয়েছিল’ এবং ভ্লাদিমির পুতিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য নিজস্ব ‘তথ্য ও অতিরিক্ত সংকেত’ দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু উইটকফ ফিরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিষয়টি অবহিত করার পরেই কেবল সময় নির্ধারণে একমত হবেন পুতিন ও ট্রাম্প।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ