ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণ দিতে হবে ব্যাংকে, কেউ জানলে পড়বে লাশ
Published: 10th, February 2025 GMT
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মো. ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অপহরণ করা হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
অপহরণের শিকার ইদ্রিসের স্ত্রী জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করেছে অপহরণকারীরা। এই টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে হবে। আর কাউকে জানালে তার স্বামীর লাশ পাঠানো হবে।
ইদ্রিস উপজেলার বালিয়াটি শিমুলিয়া গ্রামের মো.
ইদ্রিস আলীর স্ত্রী নিপা আক্তার বলেন, রোববার তিনবার ফোন দিয়েছে অপহরণকারীরা। তারা ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। মুক্তিপণ না দিলে তার স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। একইভাবে আজ সোমবার অপহরণকারীরা ইদ্রিসের স্ত্রীর কাছে ফোন দিয়ে জানতে চাই টাকা যোগাড় করা হয়েছে কিনা? পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানালে তোমার স্বামীর লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় অপহরণের শিকার ইদ্রিসের সঙ্গে তার স্ত্রীর কথা বলার সুযোগ দেয় অপহরণকারী। এ বিষয়ে নিপা বলেন, ফোনে তার স্বামী জানান, তিনি কোথায় আছেন তা জানেন না। টাকার জন্য ওরা চাপ দিচ্ছে। ওরা বলেছে, টাকা না দিলে তার স্বামীকে মেরে ফেলবে।
নিপা আক্তার আরও বলেন, মুক্তিপণের টাকা কোথায় দেব জানতে চাইলে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে বলে জানায়। অপহরণকারীরা বারবার আমার স্বামীর মোবাইল দিয়ে টাকাসহ হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালু বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগীরা। প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ অপহরণ অপহরণক র র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে পিটিয়ে জখম
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা ও চাচাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের জোড়খালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার রাতে ছাত্রীর বাবা তিন বখাটের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে কাঁঠালিয়া থানায় মামলা করেছেন। তারা হলেন জোড়খালী এলাকার রাজ মল্লিক, সিফাত মল্লিক ও আরিফ মল্লিক। মামলার পর থেকে তারা পলাতক।
এজাহার থেকে জানা গেছে, জোড়খালী এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে রাজ মল্লিক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বাড়িতে এসে সবাইকে জানায়। ছাত্রীর বাবাসহ পরিবারের লোকজন রাজ মল্লিককে এমন কর্মকাণ্ড করতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাজ মল্লিক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করার হুমকি দেয়। ১০ মার্চ দুপুরে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। ওই সময় আসামিরা তার পথরোধ করে পরনের কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে। এক পর্যায়ে ওড়না ছিঁড়ে ফেলে। ছাত্রী দৌড়ে বাড়িতে এসে ঘটনা তার বাবাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের শাসান। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। বাবাকে রক্ষায় ছাত্রী এগিয়ে এলে আসামিরা তাকেও মারধর করে। বাবা-মেয়ে চিৎকার করলে ছাত্রীর চাচা মো. আলম বেপারি এসে আসামিদের বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। তখন আসামিরা প্রকাশ্যে বাদীর মেয়েকে এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, অপহরণ ও খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
রাজ মল্লিকসহ আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মং চেনলা বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ প্রয়োজনে ভুক্তভোগী পরিবারকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে।