রাঙামাটিতে হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
Published: 10th, February 2025 GMT
বন্য হাতি সংরক্ষণ ও মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতা বাড়াতে রাঙামাটির শুভলংয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাত্র ২০০টির বেশি বন্য হাতি রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪০টি রাঙামাটির উত্তর বন বিভাগ এলাকায় বসবাস করে। তবে বাসস্থান ধ্বংস, খাদ্য সংকট ও বিচরণক্ষেত্র কমে যাওয়ার কারণে বন্য হাতিরা লোকালয়ে চলে আসছে, যার ফলে মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ বাড়ছে।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.
তিনি আরও জানান, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব কমাতে নিরাপদ করিডোর তৈরি ও স্থানীয়দের সচেতন করার জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে।
শুভলংয়ের কাচালংমুখ বন শুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়িতে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী বন কর্মকর্তা: শ্যামল কুমার মিত্র, শুভলং বন শুল্ক ফাঁড়ির স্টেশন কর্মকর্তা: মো. শরিফুল ইসলাম, আইইউসিএন বাংলাদেশ-এর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট আবু হুরাইরাসহ আরও অনেকে।
বরুনাছড়ি ও কুরকুতিছড়ি এলাকার ১০ জন গ্রামবাসী এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র, ভেস্ট, হ্যান্ডমাইক, টর্চলাইট ও হুইসেল প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে একটি হাতি সুরক্ষা দল গঠন করা হয়, যা হাতি রক্ষা ও মানুষের জানমাল নিরাপদ রাখতে কাজ করবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রামগঞ্জে তথ্য উপদেষ্টার বাবার ওপর হামলার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বাবা আজিজুল রহমান বাচ্চুর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার মাহফুজ আলমের নিজ গ্রাম রামগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর মোল্লাবাড়িতে এ হামলা হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী মঞ্জুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা বাচ্চু মোল্লা বাধা দেয়। এতে একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে বাচ্চুর ওপর হামলা করলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আছেন।
ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী মঞ্জু আহত বাচ্চু মোল্লার ভাতিজা। এ বিষয়ে মেহেদী মঞ্জু বলেন, ‘রাজনীতি করে কখনও কারও ক্ষতি করিনি। এরপরও পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। অসুস্থ মাকে দেখতে রোববার বিকেলে বাড়িতে আসি। খবর পেয়ে বিএনপির লোকজন বাড়িতে হামলা করে। আমি এর আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তখন বাচ্চু কাকা হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন।’
ঘটনাটি জানতে আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লার মোবাইল ফোনে কল দিলে তার পরিবারের এক সদস্য কল রিসিভ করেন। তবে তিনি পরিচয় দেননি। তার ভাষ্যমতে, বাচ্চু মোল্লা এখন ভালো আছেন। বাড়িতেই রয়েছেন।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সমকালকে বলেন, আজিজুল রহমান বাচ্চুর বাড়ির সামনে দুটি পক্ষ ঝামেলায় জড়ায়। তখন তিনি উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু একটি পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে আঘাত করে। হাতে আঘাত পেলে তাকে হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
ওসি বলেন, ‘আমিও আজিজুল রহমান বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছি। তাকে রোববারই বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’