নীতি সুদহার অপরিবর্তিত, নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
Published: 10th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ, অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন সময়ের নতুন মুদ্রানীতি প্রকাশ করেছে। এতে আগামী জুন পর্যন্ত নীতি সুদহার বা রেপো রেট ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। মানে হচ্ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর ঋণ নেওয়া নতুন করে ব্যয়বহুল হচ্ছে না। কারণ, গত দুই মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য মুদ্রানীতি চূড়ান্ত করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে সুদহারে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে স্বল্প সময়ের জন্য ঋণ দেয়, সেটাই হচ্ছে নীতি সুদহার। ইংরেজিতে একে বলে রেপো রেট। রেপোর বাংলা হচ্ছে পুনঃক্রয় চুক্তি। এটা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মুদ্রানীতির একটি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিচিত।
নতুন মুদ্রানীতিতে আরও বলা হয়েছে, নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির (এসএলএফ) বিদ্যমান সুদহার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নিচের সীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটির (এসডিএফ) হার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশে বহাল রাখা হয়েছে।
নতুন মুদ্রানীতিতে বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের কঠোর আর্থিক নীতি পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। তবে এসব নীতির কারণে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এতে করে নভেম্বরে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, কঠোর নীতির ধারাবাহিকতা ও অংশীজনদের সহযোগিতায় নিকট ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে।
মুদ্রানীতির বিবৃতি অনুসারে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনাই প্রধান লক্ষ্য।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের জীবনাবসান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ সিদ্দিক তুহিন এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “১০টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি (আরেফিন সিদ্দিক) আর নেই। জানাজার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আজিমপুরে বাবা-মায়ের কবরের পাশেই আগামীকাল তাকে দাফন করা হবে।”
গত ৬ মার্চ দুপুর সোয়া ২টার দিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সেদিন দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা ক্লাবের বেকারিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে হঠাৎ পড়ে যান। তাৎক্ষণিক তাকে বারডেম হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং স্ট্রোক করেছেন। ঢাবির সাবেক এই উপাচার্যকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব পালন শেষ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে ফিরে যান। ২০২০ সালের জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা থেকে অবসরে যান তিনি।
ঢাকা/হাসান/রাসেল