রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নাম পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠাকালীন ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখেন। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত ছিল। এর মাধ্যমে রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসলকে নস্যাৎ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, রংপুরে আগে থেকেই বেগম রোকেয়ার নামে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজ, পায়রাবন্দে সরকারি কলেজ, একটি হাইস্কুল ও একটি বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের কোন যৌক্তিকতা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ থাকলে তা অঞ্চলটির পরিচয় বহন করত। অবিলম্বে প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পুনর্বহালের দাবি করেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, “আমরা নাম পরিবর্তন নয়, প্রতিষ্ঠাকালীন ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম পুনর্বহাল চাই। সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য দেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সমন্বয় ও শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব গম র ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে শ্রমিকদের জিম্মি করে লুট

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ২০-২২ দুর্বৃত্ত আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১৮ শ্রমিককে মারধর পরে জিম্মি করে ব্যাটারি তৈরির সিসা, প্লেট, কানেক্টরসহ অন্তত ৫৫ লাখ টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এসব সামগ্রী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে তারা।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তাড়াশ-বারুহাঁস সড়কের পশ্চিম দিকে হেদার খালে ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের মারধরে কারখানার শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক হোসেন, শামীম হোসেনসহ অনন্ত আটজন আহত হয়েছেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় কারখানার মালিক মো. শয়নুল ইসলাম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শয়নুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় ট্রাকে ২০ থেকে ২২ জন কারখানায় আসে। তারা টিনের বেড়া ভেঙে কারখানায় ঢুকে আগ্নেয় ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে শ্রমিক আব্দুল হান্নান, মোস্তাক, শামীমসহ ছয়জনকে জিম্মি করে। তারা বাধা দিলে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। বিশ্রামাগারে ঘুমিয়ে থাকা আরও ১০-১২ শ্রমিককে জিম্মি করে লুটপাট শুরু করে।

প্রায় চার ঘণ্টায় তারা কারখানা থেকে তিন টন ব্যাটারি তৈরির সিসা, ৩৪০ টাকা কেজি মূল্যের ১ হাজার ২০০ কেজি কানেক্টর, ২৫০ টাকা কেজির ১৬ টন প্লেট, ৬৩ হাজার টাকার ৯টি পুরোনো ব্যাটারিসহ প্রায় ৫৫ লাখ টাকা মূল্যের মালপত্র লুট করে ট্রাকে করে চলে যায়। তারা চলে গেলে শ্রমিকরা একে অপরের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে পুলিশে খবর দেন।

তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের বলেন, খবর পেয়ে দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাই ভাই ব্যাটারি কারখানায় ডাকাতির সত্যতা পাওয়া গেছে। ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ